কম সময়ে বেশি আইপিও অনুমোদন (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার
গেল চার মাসে ১১টি আইপিও অনুমোদন করেছে পুনগর্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে কম সময়ে এত বেশি আইপিও অনুমোদন দেয়ায় চাহিদার বিপরীতে শেয়ারের সরবরাহ বেড়ে যাচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্ন তুলছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যৌক্তিক দামে ভাল আইপিও বাজারে এলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন। যা গত মার্চে তিন লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি নেমে গিয়েছিল। তবে শুধু সূচক নয়, গেল চার মাসে বেড়েছে শেয়ারের চাহিদাও। আর তা পূরণে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১১টি আইপিও।
বিএসইসি বলছে, এ সময়ে আইপিও’র পাশাপাশি সাত হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ার আশঙ্কা অনেক বিনিয়োগকারীর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাল আইপিও বাজারে আসলে উদ্বেগের কারণ নেই।
বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ভাল ভাল আইপিও না এলে বাজারের কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করবে না। মাঝে যে আইপিওগুলো এসেছে সেটা বাজারের উপরে একটা অ্যাডভার্স অ্যাফেক্টেট পড়েছে। সুতরাং ১১টা বা ১০টা যে আইপিও আসছে, সেগুলো যদি ভাল আইপিও হয়, প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির আইপিও হয় এবং দেখেশুনে যদি নিয়ে আসা হয় তাহলে কোন সমস্যার সৃষ্টি হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান মুদ্রানীতি সম্প্রসারণমূলক। অন্যদিকে, ঋণের চাহিদা কমে আসায় ব্যাংকগুলোতে জমছে অলস অর্থ। লাগাম টানা হয়েছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে। ফলে পুঁজিবাজারে অর্থসংকট হবে না বলেই আশা বিএসইসির।
বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মুদ্রানীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থার কথা বলেছি, সেখান থেকে তো টাকার ফ্লোটা পরিবর্তিত ধারায় যাবে। সেটি কোথায় যাবে তখন, যেতে হলে তো শেয়ার মার্কেট ছাড়া আর পথ নেই। এতোগুলো প্রতিষ্ঠান আসছে এর মধ্যে সবগুলোই পারবে অধিকাংশই ভাল পারবে। সেহেতু আমার মনে হয় না যে, তাদের চাহিদার কোন কমতে হবে।
নতুন আইপিও বাজারে এলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ে। তবে সেকেন্ডারি মার্কেটের বাইরে থাকা আইপিও শিকারিরাও তৎপর হয়ে উঠে, এমন মত বিশ্লেষকদের।
এএইচ/