তরমুজের নতুন জাত উদ্ভাবন (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার
এবার দুটি নতুন তরমুজের জাত উদ্ভাবন করলো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। একটি তরমুজের ভেতরটা হলুদ আর অন্যটা লাল রঙের। দেশের আবহাওয়ায় সারাবছরই এই দুই জাতের তরমুজের চাষ করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক। মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য দ্রুতই বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৪ সাল থেকে তরমুজের নতুন জাত উদ্ভাবনে কাজ শুরু। ছয়জনের গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন বারির সবজি বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌসী ইসলাম। অবশেষে ধরা দেয় সাফল্যা। একটি জাতের নাম দেয়া হয়েছে বারি-১, অন্যটি বারি-২। দেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদের উপযোগী তরমুজ দুটির একটির ভেতরটা আবার হলুদ রঙা, অন্যটি লাল।
মৌসুমে লাল তরমুজের গড় ওজন ৮ থেকে ১০ কেজি আর মৌসুম ছাড়া ৪-৬ কেজি। হলুদ তরমুজ মৌসুমে ৬-৭ কেজি আর মৌসুম ছাড়া ৩-৪ কেজি।
বারির সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, নতুন জাতের তরমুজ আবাদ শুরু হলে কৃষকের লাভ বাড়বে।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী ইসলাম বলেন, এটার বিশেষত্ব হলো সারাবছরই উৎপাদন করা যাচ্ছে। পলি সেটের মধ্যে কৃষক তার চাহিদা মতো বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সমন্বিত জাতটা পাবে।
কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। এগুলোর ফলন, আকৃতি, স্বাদ ও মিষ্টতা প্রচলিত শংকর জাতের তরমুজের চেয়ে উন্নত বলে জানান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে যে তরমুজের মতো একটা জনপ্রিয় ফল কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং যেটা ছিল আমদানীকৃত বিজের উপর নির্ভর, সেটা এখন কৃষি গবেষণার উদ্ভাবিত বিজের মাধ্যমে আমরা সারাদেশের চাহিদা পূরণ করতে চাই।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বারির সবজি বিভাগ এবং পটুয়াখালীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে তরমুজের নতুন দুই জাতের উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে।
এএইচ/এসএ/