ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৮ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু নদীর পানি কমতে শুরু করলেও অনেক নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনও অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফসল ও পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিশেহারা এসব এলাকার মানুষ। তীব্র হয়েছে নদীভাঙন। 

গাইবান্ধা জেলার করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনও ৪ ফুট পানিতে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ভায়া ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়ক ডুবে রয়েছে। করতোয়া নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে কাটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

ভুক্তভোগীরা জানান, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, চলাচল করতে সমস্যা। এছাড়া ঘরবাড়ি তো পানিতে ডুবে আছে। 

নওগাঁয় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেড়েছে দুর্ভোগ। তৃতীয় দফা বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। 

এলাকার মানুষরা জানান, চতুর্দিকে পানি, ঘর-বাড়ি পানিতে ভাসতেছে। এই অবস্থায় বাড়িঘর টিকিয়ে রাখাটাই কষ্ট। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। যমুনার পানি কমায় সিরাজগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তীরবর্তী এলাকায় বেড়েছে ভাঙ্গন। সদরের পাঁচ ঠাকুরী, সয়দাবাদ, এনায়েতপুর থানার বাক্ষ্মণগ্রাম থেকে আড়কান্দি, ঘাটাবাড়ি, পাকড়তলা, ভেকা ও পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার জুড়ে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। 

পানিবন্দি মানুষরা জানান, কাজ না হওয়ার কারণে এই দুর্ভোগ। ভাঙ্গনের অবস্থা ভয়াবহ। তিন চার হাজার বাড়িঘর এবং কয়েকশ’ একর জমি ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। 

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, ছাগলধরা, ডোমকান্দি, নারচি, বরুরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

এএইচ/এসি