ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবিতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

সারাদেশে লাগাতার ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংস আচরণের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চোখে কালো কাপড় বেঁধে ধর্ষণবিরোধী ৭ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ আইন পুনঃবিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা, ধর্ষণজনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, ৩০-৬০ কার্যদিবসের মাঝে বিচার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া, ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া, প্রতি জেলায় ধর্ষণ প্রতিরোধে পুলিশের আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা, নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন করা, পূর্ববর্তী সকল ধর্ষণ মামলার রায় ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং দলীয় মদদে কোন ধর্ষণকে বা কোন অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ৭টি দাবি তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, "ধর্ষণের মত জঘন্যতম আর ন্যাক্কারজনক একটা অপরাধের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করতে হবে- এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক বিষয়। ধর্ষকের শাস্তি যেন মৃত্যু নিশ্চিত করে দৃষ্টান্তস্বরূপ এক মাসের ভিতর তা কার্যকর করা হয়। যাতে ভবিষ্যতে এমন জঘন্যতম অপরাধ করার সাহস কেউ না পায়।"

তিনি আরো বলেন, "মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া বিষয়গুলো নিয়েই আমরা যত তোলপাড় করি, কিন্তু অগোচরে রয়ে যায় আরো বহু ধর্ষণের ঘটনা। হাজারো ধর্ষণের ঘটনা আদালতে ঝুলতে থাকে বছরের পর বছর। হয়না কোনো সমাধান। এগুলো দ্রুত বিচারের কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।"

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী শিকদার মাহবুব বলেন, "দেশব্যাপী যেন ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটাই খবর- ধর্ষণ আর ধর্ষণ। তাই করোনাকালীন সময়েও ঘরে বসে থাকতে পারিনি। জানিনা বাসায় রেখে আসা আমার মা-বোন নিরাপদ কিনা। তাই সকল মা-বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ধর্ষকের শাস্তি যেন মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হয়- প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আইন প্রণয়নকারীদের কাছে এটাই প্রত্যাশা।"

এনএস/