সাভারে বেড়াতে গিয়ে দুই বান্ধুবী গণধর্ষণের শিকার, ভিডিও ফাঁস
সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:৫৮ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২০ বুধবার
সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধুবীকে গণধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৯ কিশোর পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার ভোর রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান।
প্রায় ১ মাস আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সাথে পবনারটেক এলাকার একটি হাউজিং এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ওই গ্যাংয়ের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তারা।
আটককৃতরা হলো- ডায়মন আলামিন, জাকির ও পান রাকিব। পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করে বলে জানা গেছে। বাকি দুই জন শিক্ষার্থী। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরা হলো- দলনেতা সারুফ, তার সহযোগি আলমিন, জিদান, রেদওয়ানসহ আরও কয়েকজন।
ভুক্তভোগীদের সাথে বেড়াতে যাওয়া কিশোর ইসরাফিল জানায়, প্রায় ৩৫ দিন আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সাথে দুই বান্ধুবী ভাদাইলের গুলিয়ারচক এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে প্রিন্স কিশোর গ্যাঙ্গের ১২ থেকে ১৪ জন সদস্য। পরে ভুক্তভোগীর সাথে বেড়াতে যাওয়া দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে এক জায়গায় বসিয়ে রাখে। পরে ভুক্তভোগীদের একটু আড়ালে নিয়ে ১২ জন কিশোর ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগী দুই বান্ধুবী গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ১ মাস পর কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ধারণ করা ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর গ্যাংয়ের প্রধান সারুফের বাবা আকবর আলী প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যসহ অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় মাদবরদের নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান জানান, ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই কোন অভিযোগ না পেলেও তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে তিন গ্যাং সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এমবি//