ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি কোম্পানিগুলো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছে জাপানি কোম্পানিগুলো। প্রতিবছর ৫০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আরও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ চায়। কর সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে, যেগুলো দ্রুত সংস্কার করলে জাপানসহ অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ হবে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দ্রুত সমাধান করতে হবে।

আজ বুধবার পল্টন টাওয়ারে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয় পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন’র (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজি আন্দো (Yuji Ando)। এ সময় তিনি ইআরএফ সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

ইউজি আন্দো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জাপানের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, এখনো সুযোগ রয়েছে, বাংলাদেশই হতে পারে জাপানোর অন্যতম বিনিয়োগের স্থান। সে জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। 

ইউজি আন্দো আরও বলেন, চীন থেকে যে সংখ্যক কোম্পানি কারখানা স্থানান্তর করবে বলে অনেকে মনে করছেন, বাস্তবে ততটা হবে না। কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা চীনে রেখে অন্যান্য দেশে নতুন কারখানা করতে পারে। আর কারখানা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আসিয়ানভূক্ত দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে। 

এসময় সংশ্লিষ্ট দেশ ও বিনিয়োগকারীর সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও উন্নয়নের মাধ্যমে অধিকতর জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে এবং তার সম্ভাবনাও রয়েছে। এজন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা নিরসনের আন্তরিক উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারকেই নিতে হবে।

জেট্রোর আবাসিক প্রধান বলেন, জাপানের যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে তার ৭০ ভাগ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ইআরএফ ও জেট্রো যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। 

দুই দেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেটা বাড়াতে ইআরএফ জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন জেট্রো’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ।

এসময় ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চীফ এম শফিকুল আলম, রয়টার্সের সাবেক ব্যুরো চীফ সিরাজুল ইসলাম কাদিরসহ ইআরএফ নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএস/এমবি