ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সেফটিপিনের চেইন, গিনেজ বুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্থ (ভিডিওসহ)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:১৯ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

সেফটিপিনের চেইন তৈরি করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের পার্থ চন্দ্র দেব। ৭ হাজার ৮৭৭ ফুট দৈর্ঘ্যের এই চেইন তৈরি করে তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর পেয়েছেন রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতিপত্র। বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত করতে ভূমিকা রাখতে পেরে খুশী পার্থ। 

জানা গেছে, ভারতের শ্রী হার্শা নান এবং শ্রী নাভা নানের ১৭৩৩.১ মিটার দৈর্ঘ্য চেইন গিনেজ রেকর্ডস বুকে স্থান পাওয়ার পর অনুপ্রাণিত হন পার্থ। ইচ্ছে জাগে ওই রেকর্ড ভাঙ্গার। যোগাযোগ করেন গিনেস কর্তৃপক্ষের সাথে।

গত বছরের ২০ এপ্রিল আবেদন করলে অনুমোদন মেলে ২৩ জুলাই। এরপর সোনালী রঙের এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সেফটিপিন দিয়ে একটি চেইন তৈরি করেন পার্থ। যাতে সময় লাগে ৪৫ দিন। 

পার্থ চন্দ্র দেব বলেন, ‘আমি সেফটিপিন বিক্রি করি। যা করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে ইচ্ছে করলে আমি সেফটিপিনের চেইন তৈরি করে গিনেজ বুকে নাম লেখাতে পারি। পরে গুগল, ইউনিটউবে বিস্তারিত জেনে কাজ শুরু করি।’

তিনি বলেন, ‘এ স্বীকৃতি পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। এখন প্রত্যেকেই চাইবে ভিন্ন কিছু করার। যা দিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করা যায়।’

২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শ্রী শ্রী পাগল সংকর জিও মন্দিরে চেইনটির জরিপ কাজ করা হয়। গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হয়েছে ভিডিও এবং ছবিসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য। অবশেষে স্বীকৃতি আসে। গিনেজ কর্তৃপক্ষের পাঠানো সার্টিফিকেটে লেখা আছে ‘দ্য লংগেস্ট চেইন অফ সেফটিপিন’। 

স্থানীয়রা বলছেন, ‘যুব সমাজ এটা দেখলে আরও অনুপ্রাণিত হবে।’

তবে একটি রেকর্ড গড়েই থেমে যেতে চান না পার্থ। আরও কিছু করতে চান। পার্থের এই কাজ শুধু নাসিরনগর নয় বরং বাংলাদেশের জন্য গর্বের বললেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বলেন, ‘উপজেলার লোকজন বেশ আগ্রহ নিয়ে তার কাজটি দেখছে। এতে করে বর্তমান তরুণরাও সৃষ্টিশীল এমন কাজে এগিয়ে আসবে।’

পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার ষ্টেশনারী দোকান দেখাশোনা করেন পার্থ। তার চাওয়া দীর্ঘ চেইনের মতোই সমাজে দীর্ঘ হোক সম্প্রীতির বন্ধন।

এআই/এনএস/