কোভিড উত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইটিভির নয়া পরিকল্পনা ও কৌশল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৮:২৪ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
কোভিড পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক উদ্যমে নতুনভাবে সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছে একুশে টেলিভিশন-ইটিভি।
এব্যাপারে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে শনিবার প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব বোর্ডরুমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এতে সকল বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে টেলিভিশনের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা, কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট, ইমেজ ও ঐতিহ্য সুসংহত করাসহ কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা ছিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। দীর্ঘ কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে সকলে প্রাণবন্তভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পীযুষ বন্দোপাধ্যায় কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ যেভাবে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতে আমাদের অনেক কর্মী ভাই-বোনেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন। তবে সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় বর্তমানে আমাদের সকলে সুস্থ আছেন এবং বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটে নাই।
অন্যান্য কর্মকর্তারা বিজনেস অবজেকটিভস, কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট অবজেকটস, প্রোগ্রাম কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট, ভবিষ্যত আর্থিক পরিকল্পনা, ডিজিটাল প্লাটফর্মের মার্কেটিং পলিসি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
একুশে টিভির ঐতিহ্য সুসংহত রেখে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে জোর দেন কর্মকর্তারা।
তারা বলেন, একুশে টেলিভিশনের ২০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রজন্মের জন্য যুগোপযোগী কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট করতে বিষদ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল বিষয়গুলি মাথায় রেখে সামগ্রিক বিষয়গুলি নিয়ে আসতে হবে। এবিষয়ে ব্যাপক গবেষণার উপরে সকলেই গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ, দক্ষ লোকবল নিয়োগ ও আউটসোর্সিং করার বিষয়ও উঠে আসে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানি সচিব আতিকুর রহমান, হেড অব নিউজ কাজী মোহসীন আব্বাস, হেড অব সেলস এন্ড মার্কেটিং আলমগীর কবির, হেড অব এডমিন মেজর (অব.) নাসিম হোসেন, ডিসিএফও সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ, প্রোগ্রাম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন শোভন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বার্তা সম্পাদক রঞ্জন সেন ও উপ-মহাব্যবস্থাপক সুজন দেবনাথ।
২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় একুশে টেলিভিশনের। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে কোটি দর্শকের মন।
দেশের জনপ্রিয় এই টিভি স্টেশনে খবর ছাড়াও প্রচারিত হচ্ছে খবরের বিশ্লেষণধর্মী টকশো অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’। একুশে টেলিভিশনে খবর ছাড়াও বিভিন্ন বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন রয়েছে। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান সেরা নারীর সেরা রান্না, মজার টিফিন চাই; লাইফ স্টাইল বিষয়ক অনুষ্ঠান বিয়ের রাজকন্যা, রুপ লাবণ্য, গানের অনুষ্ঠান ফোক মোমেন্টেস, মিউজিক এক্সপ্রেস, গানের ওপারে; স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান দ্য ডক্টরস ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে।
এছাড়াও ই-টেক, ভাইরাল শো দর্শকদের তথ্য বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে নিয়মিতই। এসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় নাটক ও সিনেমা একুশের দর্শকদের মন রাঙিয়ে চলেছে সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই।