নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, শাহেদের স্বীকারোক্তি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
মাইনুদ্দিন শাহেদ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আরেক আসামি মাইনুদ্দিন শাহেদ। শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জেলার ২নং আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, শনিবার দুপুর ২টায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে শাহেদকে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত হন। সন্ধ্যায় আসামি শাহেদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সন্ধ্যায় সাহেদকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ৫ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলো। এর মধ্যে আবদুর রহিম মামলার ২নং আসামি। অপর ৪ আসামি হলো- ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ, রাসেল, শাহেদ ও সোহাগের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে তাদেরকে যুক্ত করা হয়। এছাড়া মামলায় গ্রেপ্তার ১১ আসামির মধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় মামলার অন্যতম তিন আসামি বাদল, কালাম ও সাজুকে নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাড়িতে যান। এ সময় পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তারা ওই বাড়িতে ৩০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষ এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশ ঘুরে দেখেন। তবে, তারা কারো সঙ্গেই কথা বলেননি।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও গত রোববার (৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।
সেইসঙ্গে ওই রাতেই ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
এই দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে ৫ জনকে।
এনএস/