ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কেরানীহাটে পুলিশের প্রশ্রয়ে অবৈধ পার্কিং, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ০১:৩৬ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় চলছে অবৈধ পার্কিং বাণিজ্য। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী, যাত্রী ও পথচারীদের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের কেরানীহাট চত্বরের একপাশ দখল করে অবৈধভাবে ট্রাক-বাসের পণ্য রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী ওঠানামা ও রাস্তা দখল করে ট্রাক, সোদিয়া, হানিফ ও শ্যামলী পরিবহন রাখায় প্রতিদিনই ভয়াবহ এ যানজটের কবলে পড়ছে মানুষ।

বাস টার্মিনাল না থাকায় ওই চত্বরে রাস্তা দখল করে বাস দাঁড় করিয়ে ওঠানো হয় যাত্রী। ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলোতে যানজটের কবলে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। ফলে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় অপচয় হচ্ছে। এছাড়া অনেক সময় যানজটে আটকা পড়ে জরুরি চিকিৎসার রোগীকেও মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হয়।

অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের পাশে ট্রাফিক পুলিশের অফিস থাকলেও রহস্যজনকভাবে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না চট্টগ্রাম দক্ষিণ হাইওয়ে বিভাগ। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের অফিসের সামনেও সারি সারি বাস ও ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এসব গাড়ি থেকে উৎকোচ নেওয়ায় তারা গাড়িগুলোকে নীরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এসব পরিবহনকে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের পরিচয়ে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা এক যুবলীগ নেতার নাম ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এই বিষয়ে কেরানীহাট চত্বরে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রবিউল হাসান বলেন, ‘মহাসড়কে সাইড বা উল্টো পথ দিয়ে গাড়ি চালানো ও গাড়ি থামানোয় কয়েকদিনে ৪০টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।’

তবে ট্রাফিক পুলিশের উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আসলে এ রকম কিছুই হয় না। এখানে জনবল কম, তাই আমরা বিশ্রামও নিতে পারি না। তবে আমরা মহাসড়কে যানজট না হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এদিকে ট্রাফিক বিভাগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডমিন মোহাম্মদ আরিফ জানান, ‘যানজটের বিষয়ে ট্রাফিক অফিসার আশরাফকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোন অবস্থাতেই যাত্রীদের ভোগান্তি করতে দেওয়া হবে না।’

স্থানীয়রা জানান, ‘ছোট হোক বড় হোক এই জনপদে একটি বাস টার্মিনাল দরকার।’
এআই/এসএ/