ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

যমুনার ভাঙনের মুখে বগুড়া-সিরাজগঞ্জের বহু এলাকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

যমুনার ভাঙনের মুখে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ জেলার বহু এলাকা। বসত-ভিটা হারানো মানুষেরা আশ্রয় নিচ্ছেন বাঁধের উপর। আর এ কারণে দুর্বল হওয়া বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে যমুনার করাল গ্রাসে হারিয়ে যাবে গ্রামের পর গ্রাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, অর্থ বরাদ্দ পেলে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। 

প্রতি বর্ষায় ফুসে ওঠে যমুনা। বন্যায় তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। পানি নামার সময় শুরু হয় ভাঙন। 

গাইবান্ধা থেকে বগুড়া হয়ে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত যমুনা। সিরাজগঞ্জের ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে সদরের পাঁঠাকুরী ছাড়াও শাহজাদপুর উপজেলার বেশ কিছু এলাকাসহ সাড়ে ৬ কিলোমিটার জুড়ে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। বিলীন হচ্ছে বসত ভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। 

অনেকেরই আশ্রয় বাঁধের উপর। মানুষের চাপে দুর্বল হয় বাঁধ। ভাঙন রোধে বাঁধ সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীরা জানান, ভাঙনের পর নতুন করে বাড়িঘর করলাম, আবার ভাঙন শুরু হওয়ায় সেই বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হচ্ছে। বাপ-দাদার সম্পত্তি বিলীন হয়ে যাচ্ছে, কোথায় যেয়ে দাঁড়াবো। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হবে গ্রামের পর গ্রাম।

এক জনপ্রতিনিধ জানান, তিন-চার বাড়িঘর এবং কয়েকশ’ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, বাঁধের প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়িয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, এই বাঁধের উপর রাস্তার প্রকল্প আছে। এছাড়া বাঁধ আগের চেয়ে অনেক উঁচু হবে এবং বাঁধে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ হবে। প্রশস্ত ও উচ্চতা এই দুটি বৃদ্ধি করে প্রকল্প তৈরি প্ল্যানিং কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জ সউপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এই কাজগুলো অনুমোদন হলে আর আমরা সম্পন্ন করতে পারলে যমুনার ভাঙনের তাণ্ডব এবং মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।

বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনাও আছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
এএইচ/এসএ/