সরাইলে শিশু অপহরণ, বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২০ রবিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শিশু অপহরণ মামলার সুবিচারের দাবিতে সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার সকালে শিশু পহেলা সালিনা আক্তার নুরাইয়া নুসরাতের মাতা নার্গিস আক্তার এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের শফিকের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, আমার মেয়ে পহেলা শালিনা আক্তার নুরাইয়া নুসরাতকে ১৯ মাস বয়সে চিকিৎসার কথা বলে আমার স্বামী শফিক কৌশলে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রাখে। মেয়েটিকে অপহরণ গুম, হত্যা করতে পারে বলে আমি ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করি। আমার স্বামী ২য় বিবাহ করিলে আমাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
আমার স্বামী শফিক কৌশলে মামলা তুলে নেয়ার জন্য অরুয়াইলের সাহের উদ্দিন, আমার মা মাজেদা বেগম ও আমার ভাই আমির হোসনকে নিয়ে আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। আমার মেয়ের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকি। গত কুরবানী ঈদের পর কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ শিশু পহেলা শালিনা আক্তারের সন্ধান দেয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের পিঠা, চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। বাবুল ও আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসার জন্য আটক করা হয়।
বাবুল ও আব্দুল্লাহর নিকট থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে দেড় বছরের শিশু পহেলা শালিনা আক্তারকে নৌকার মাঝি আব্দুল্লাহর স্ত্রী পিঠা বিক্রেতা রিনু বেগমের নিকট, পরে রহিম ও আলামিন পিঠা চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট ৪০০ টাকা ষ্ট্যাম্পে শিশুটিকে বিক্রয় করে দেয়। বাবুল তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে বাবুল আশুগঞ্জ থেকে নিজ গ্রামে অষ্টগ্রামের আলীনগর চলে যায় ঐখানে গিয়ে বাবুল আবার পিঠা ও চা বিক্রয় শুরু করে শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা ব্যবসা শুরু
করে। দীর্ঘ চার বছর পর আব্দুল্লাহর স্ত্রী রিনু বেগম জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামীকে দিয়ে ভাল কাজ করার মানসে শিশু পহেলা শালিনা আক্তারের সন্ধান দেয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. শফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের পিঠা ও চা বিক্রেতা বাবুলের নিকট থেকে শিশু পহেলা শালিনা আক্তারকে উদ্ধার করি। ডিএনএ পরিক্ষার জন্য পিতা ও মাতাকে বলা হলে পিতা শফিক ডিএনএ পরিক্ষা করতে রাজি না হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে ডিএনএ করার জন্য আবেদন করা হলে পিতা শফিক ডিএনএ পরিক্ষার জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করে সময় নিয়েছে। শিশু পহেলা
শালিনা আক্তারকে চট্টগ্রাম রৌফাবাদ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-তত্বাবধায়কের হেফাজতে রয়েছে। উক্ত অপহরণ মামলার সুবিচারের দাবী করেন শিশুর মাতা নার্গিস বেগম।