নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না
প্রকাশিত : ০৬:০৪ পিএম, ১১ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:২০ পিএম, ১১ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ২০০৯ সালের ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের আওতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
খাদ্যে ভেজাল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেল, জরিমানা, সাজা প্রদান সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ আদালতের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০১১ সালে ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লংঘনের অভিযোগে এক বাড়ির মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আইনের বিধান ও অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট করেন ঐ ব্যাক্তি। পরে রুলসহ সাজার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এরপর আরও দুটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল হয়েছিল। পৃথক ৩ টি রিটের রুলের শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ রায় দেন।
এতে বলা হয়, ভ্রাম্যমান আদালত আইনের ১১টি বিধান বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ-সংক্রান্ত সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর বিরোধী।
এই আইনজীবী আরো জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের ফলে খাদ্যে ভেজাল সহ মোবাইল কোর্টের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ নেই। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হলে নতুন করে আইন করার কথা বলেন তিনি।
তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
রায়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ হওয়া ঘটনাটি ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অতিতের সিদ্ধান্ত মার্জনা করা হয়েছে।