ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দুই শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাবিপ্রবির আইআরটি পরিচালকের জিডি 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

প্রমাণপত্র ছাড়া মিথ্যা ও বানোয়াট  অভিযোগ প্রদান ও তা নথিভুক্ত হওয়ার পূর্বেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার অভিযোগে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের (১) অধ্যাপক টিএমটি ইকবাল, (২) আশরাফুল আশরাফ  (পিতা: অজ্ঞাত)  (৩) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.মো: রেজাউল করিম (৫৪) এবং (৪) অরুণ রায় (৩৫) পিতা অজ্ঞাত, প্রাক্তন ছাত্র হাবিপ্রবির নামে দিনাজপুর  কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী  করেছেন হাবিপ্রবির আইআরটি এর পরিচালক ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.মো: তারিকুল ইসলাম। গত ৭ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ তিনি উক্ত ডায়েরীটি করেন। 

ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫/১০/২০২০ ইং তারিখ ১নং বিবাদী কোন প্রকার দালিলিক প্রমাণ পত্র ছাড়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগ হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বরাবর লেখেন। যা ১১ ঘণ্টা পূর্বে অদ্য সকাল অনুমান ৮ ঘটিকায় ২ নং বিবাদী আশরাফুল আশরাফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে আপলোড করে আমার মানহানি করে। সেইটি আবার পরবর্তীতে ৩ নং বিবাদী ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে ভাইরাল করে। এতেও আমার মানহানি হয়। ৪ নং বিবাদী ২ নং বিবাদীর পোস্টে মিথ্যা ও মানহানিকর কমেন্ট করে আমাকে  সামাজিকভাবে হেয় করে। এখানে উল্লেখ্য যে ১ নং বিবাদী কর্তৃক লিখিত অভিযোগপত্রটি রেজিস্ট্রার কর্তৃক নথিভুক্ত হওয়ার পূর্বেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরিশেষে, আমি বলবো, উল্লেখিত ব্যক্তিরা ভবিষ্যতেও আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আশঙ্কা করিতেছি।

প্রফেসর ড.মো: তারিকুল ইসলাম বলেন, একটি প্রকল্পের গবেষণা সহকারী হিসেবে থাকা এক  ছাত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমানিত হলে সেই প্রকল্পের টাকা আটকে দেয়া হয়। এরপর তিনি সুকৌশলে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে এমন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পত্রটি নথিভুক্ত এবং তদন্ত হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। 
তিনি আরও বলেন , একজন সিনিয়র শিক্ষ্ক হয়ে ওনি যে ধরনের আপত্তিকর কথা গুলো লিখেছেন এবং সেগুলো ফেসবুকে দেয়া হয়েছে তা কোনভাবেই অফিশিয়াল নর্মসের মধ্যে পড়ে না এবং একজন শিক্ষকের সাথে যায় না । আমি থানায় জিডি করেছি আশাকরি প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।

অভিযোগকারী প্রফেসর টিএমটি ইকবাল জানান,  অফিসের নিয়ম মেনে আমি কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে তার (প্রফেসর ড.তারিকুল ইসলাম) কোন অভিযোগ থাকলে তিনি সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিতে পারেন। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু তিনি সেটি না করে থানায় জিডি করেছেন যেটি শোভনীয় নয় এবং সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের মধ্যে আছে বলে আমার জানা নেই। আর ফেসবুকে কারা কি করেছে সেটা আমি জানি না। তিনি তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করবে করুক সেক্ষেত্রে আমার কোন আপত্তি নাই।  

সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি জানতে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্জ (তদন্ত)  আসাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,   হ্যা- আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। প্রফেসর ডঃ তারিকুল ইসলাম কয়েকদিন আগে এসে একটি সাধারণ  ডায়েরি করে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া নেব।

আরকে//