বাধ নির্মাণে দুর্নীতি-অনিয়ম করেই হাওরাঞ্চলে দূর্যোগ
প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ১২ মে ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৪৪ পিএম, ১২ মে ২০১৭ শুক্রবার
যতটুকু না প্রাকৃতিক দূর্যোগ, তার চেয়েও বেশি বাধ নির্মাণে দুর্নীতি-অনিয়ম করেই হাওরাঞ্চলে দূর্যোগ টেনে আনা হয়েছে। নইলে অকাল বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে এতোবেশী ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতো না বলে মনে করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাওরের রাজধানী হিসেবে, দেশ জোরা পরিচিতি ‘হাওর কন্যা’ সুনামগঞ্জের। সারা বছরই মাছ আর, বর্ষার আগে বোরো ধান জীবন ও জীবিকার এক মাত্র অবলম্বন এই অঞ্চলের মানুষের। দূর্ভাগ্য যে, এবার ধান-মাছ দুটির কোনটিই টিকল না।
সরকারী নিয়ম মত বাধ সংস্কারে, সব ধরনের আয়োজনও ছিল। কিন্তু সময় মত শুরুই করা হয়নি বাধ নির্মান। আর, যেগুলোও শুরু হয়েছিল, অগ্রগতি হয়নি শতভাগ। পানির বে-গতিক অবস্থা দেখে, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় অনেক হাওরেই বাধ আটকানোর শেষ চেষ্টায় স্বঃতস্ফূর্ত ভাবে, মাঠে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। তার পরও, শেষ রক্ষা হয়নি। ভেসে গেছে, সব কিছু।
কিন্তু, কেনই বা এমন পরিস্থিতি’র মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, কাজ ভাগিয়ে নিয়ে ধান কাটা-মারাই ও বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় তাকিয়ে ছিল বাধ নির্মান সংশ্লিষ্টরা। ক্ষয় ক্ষতি না হলে, সব কিছু উৎরে যেতো ভালোয় ভালোয়। প্রতিবারের মত, এবারো বাধ নির্মান প্রকল্পের টাকা ভাগ বাটোয়ারা হতো, নিভৃতে।
দীর্ঘ দিন ধরে চলা, এই দুনীতির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বাধ সেঝেছে, প্রকৃতি। একে তো মাটি না পরায় নীচু হয়ে যাওয়া বাধ এবং অনেক দিন সংস্কার না হওয়ায়, হাওর তলিয়েছেঅনায়েশেই, বিনা বাধায়।
সাধারণত বাধগুলো উচু করার কাজ পায় ঠিকাদার এবং স্থানে স্থানে ঝুকিপূর্ণ ভাঙ্গা অংশ মেরামত কওে স্থানীয় ইউপি মেম্বারদের নিয়ে, গঠিত পিআইসি কমিটি। সব কিছু, হওয়ার কথা পানি উন্নয়নবোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
অখের গোছাতে, কেউই অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করেনি। মাঠে কাজ না হলেও, কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে কমিশন বাণিজ্যের ত্রিমুখী সিন্ডিকেটের অংশীদার হয়েছে পাউবো। একারণেই অনিয়ম হয়েছে বাধা ছাড়াই, বছরের পর বছর নীচু হয়েছে বাধ। যার ফল মানুষের ভোগান্তি আর আর্থিক ক্ষতি।
যাদের বাঁচানোর জন্যে সরকারের বাধ নির্মানের চেষ্টা তাদের ভাগ্যেওর কোন পরিবর্তন না হলেও লাভবান সিন্ডিকেট সদস্যরা।