পাশবিকতা রোধে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেছি : প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধর্ষণের পাশবিকতা থেকে নারীদের রক্ষায় আইন সংশোধন করে মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তিনি জানান, সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করেই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে চায় সরকার।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার বাংলাদেশ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মত দুর্যোগের সাথে লড়াই করতে হয় প্রায় প্রতি বছরই। নদী ভাঙন, জলোচ্ছাস, ঘুর্ণিঝড় কিংবা অতিবৃষ্টি ও খরার পরে মহামারি করোনা সহ নানান দূযোর্গ মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতায় পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস’। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এই দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুর্যোগে গৃহহীনদের ঘরের চাবি প্রদান এবং দেশব্যপি নারী স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যে ধর্ষণের মত সামাজিক ব্যাধিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ এমনই একটি ব্যাধি যে মানুষ পশু হয়ে যায়। তাদের এই পাশবিকতার ফলে আমাদের মেয়েরা আজ ক্ষতিগ্রস্থ। সে জন্য আমরা এই আইনটি সংশোধন করে যাবজ্জীবনের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন পাস করে দিয়েছি।
দুর্যোগ প্রশমনে বিগত সরকারগুলোর ব্যর্থতাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল। তারা কিছুতেই স্বীকার করবেনা যে- মানুষ মারা গেছে। আমরা নিজের চোখে দেখেছি। কিভাবে লাশ ভেসে বেড়াচ্ছে। নিজের চোখে দেখেছি এবং আমরাই ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের চট্টগ্রামের নেতারা তখন আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন। আমরা যখন ত্রান নিয়ে কাজ করতে যাই তখন বিএনপির নেতরা আমাদের বাধা দেয়। এমনকি আমি যে গাড়িতে ছিলাম সেই গাড়িটা ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করে।’
বঙ্গবন্ধু কন্য বলেন, বাঙালী জানে কিভাবে দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। তাই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রস্তুত থাকারও আহবান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দূর্যোগ মোকাবেলায় আজ আমরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। কারণ বাংলাদেশের এতো ছোট একটি ভূ-খণ্ডে এতো বিশাল জনসংখ্যা। অনেক দেশের সাথে তুলোনা করা যেতে পারে। কিন্তু তুলোনা করার আগে এটা মনে রাখা উচিত যে- আমাদের ছোট্ট একটি ভূ-খণ্ড, সেটাও আবার ব-দ্বীপ। এবং এই ব-দ্বীপের উপর দিয়ে প্রায় ৭শ’র উপরে নদী প্রবাহিত।’
জন সচেতনতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই জলবায়ু পরিবর্তন সহ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রচারণার আহবানা জানান সরকার প্রধান।
এসএ/