ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

নতুন জাতের রঙিন আমের অনুমোদন (ভিডিও)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:৪৯ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

আরও একটি নতুন জাতের রঙিন আমের অনুমোদন দিলো জাতীয় বীজ বোর্ড। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের আম গবেষণা কেন্দ্র ১৫ বছর গবেষণায় বারি-১৩ জাতটি উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি আমের সংকরায়ণে জাতটি উদ্ভাবন করেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর জমির উদ্দিন। 

দীর্ঘ ১৫ বছর গবেষণার পর সাফল্যের মুখ দেখলো বারি-১৩ জাতের নতুন আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দিন এর উদ্ভাবক। আম্রপালি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহ করা রঙিন আম পালমারের সংকর জাত বারি-৩। আম্রপালিকে মা ও পালমারকে বাবা ধরে সঙ্করায়ণ করা হয়। 

আমটি লম্বাটে ও মাঝারি আকারের নাবি জাতের। এর গড় ওজন ২২০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় আমটি রসালো আঁশবিহীন ও মিষ্টি। ত্বকের রং মেরুন। মিষ্টতা ২১ শতাংশ।

নতুন এ জাতটির উদ্ভাবক জানালেন, আমটি অবমুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দিন বলেন, যেহেতু এ বছর রিলিজ হয়েছে চারাটি আগামী বছর থেকে দিতে পারবো বলে আমরা আশা করি। অন্য আম থেকে এটা ব্যতিক্রম যে কারণে এটা হাইব্রিট এবং একমাত্র রঙিন হাইব্রিট আম বাংলাদেশে।

বারি আমের তালিকায় দেশে এই প্রথম সংকরায়ণ জাত হিসাবে রঙিন আম যুক্ত হলো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত বলেন, বারি আম-১৩ যেটি বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম হাইব্রিট। আগামী বছর ব্যাপকভাবে মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বারি-১৩ আম মৌসুমের শেষের দিকে পাকে। তাই এই আম চাষে কৃষক লাভবান হবেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে আম থাকবে না সেই সময় যদি এটা বাজারজাত করতে পারি এবং কৃষক যদি বাজারজাত করতে পারে তাহলে কৃষক লাভবান হবে।

পরিপক্ক সংগৃহিত আম সাধারণ তাপমাত্রায় ৮ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। 

এএইচ/এমবি