ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

রাজস্থানকে হারিয়ে ফের শীর্ষে দিল্লি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে পয়েন্টের শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু পরের ম্যাচেই রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এলো দলটি। আর এই হারে প্লে-অফ খেলা অনিশ্চিত হলো রাজস্থানের।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিল্লি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি রাজস্থান। ফলে ১৩ রানে জয় পায় দিল্লি। এই জয়ে ৮ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ দিল্লির। আর সমান ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আট দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে রাজস্থান।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। শূন্যরানে প্রথম ও ১০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। গোল্ডেন ডাক মেরে প্রথমে ফেরেন পৃথ্বি’শ। এরপর ২ রান করে আউট হন আজিঙ্কা রাহানে।

এরপর শিখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার জুটি বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। ধাওয়ান ৩৩ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করে আউট হন। শ্রেয়াস ৪৩ বলে ৫৩ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। ৩টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিস ১৮ ও অ্যালেক্স ক্যারি ১৪ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষে দিল্লির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬১ রান।

রাজস্থানের পক্ষে জোফরা আর্চার ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নিয়েছেন উনাদকাট। ১টি করে উইকেট দখল করেন কার্তিক ত্যাগী ও শ্রেয়াস গোপাল। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থানের কয়েকজন ব্যাটসম্যান রান পেলেও কাগিজো রাবাদা, আরনিক নরকিয়াদের বোলিংয়ে দিল্লি ক্রমশ ম্যাচে ফেরে। আর ধারাবাহিক উইকেট পতনে জয়ের বন্দর থেকে ছিটকে যায় রাজস্থান। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন বেন স্টোকস। রবিন উথাপ্পার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। এছাড়া সঞ্জু স্যামসন ২৫ ও জস বাটলার করেন ২২ রান। 

যদিও শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ২২ রান। নবাগত তুষার দেশপান্ডের হাতে বল তুলে দেয় শ্রেয়াশ। তাকে হতাশ করেননি দেশপান্ডে। শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করেন তিনি।

দিল্লির পক্ষে নরকিয়া ও দেশপান্ডে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিজো রাবাদা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল।

জস বাটলার ও রবীন উথাপ্পার উইকেট নেওয়া দিল্লির নরকিয়া ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

এএইচ/এমবি