ঢাবির বহু ভবন এখনও অনিরাপদ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার
আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস’। ১৯৮৫ সালের ১৫ই অক্টোবর ঝড় জলের রাতে জগন্নাথ হলের টিভি রুমের ছাদ ধসে ৪০ জন ছাত্র-কর্মচারী-অতিথি নিহত হয়েছিল। বেদনাবিধূর অক্টোবর ট্রাজেডির ৩৫ বছর পরও বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২০টি আবাসিক হলের বেশিরভাগ ভবনই ঝুকিপূর্ণ। উপাচার্য জানালেন, ঝুকিপূর্ণ ভবন সরিয়ে ফেলতে কাজ চলছে।
ভয়াল সেই স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেননি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। ১৯৮৫তে তিনি ছিলেন এই হলেরই আবাসিক ছাত্র। ওইদিন রাতে বিটিভির নাটক শুকতারা দেখছিলেন ছাত্ররা। টিভিরুমও ছিলো পরিপূর্ণ। হঠাৎ বিকট শব্দ। পাশের ভবন থেকে গিয়ে দেখেন ধ্বংসস্তপ। সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে বেরিয়ে আসে এক একটি নিথর দেহ। নিষ্ঠুর অবহেলায় অকালে হারায় ৪০টি তাজা প্রাণ।
এ বিষয়ে জগন্নাথ হল প্রভোক্ট ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘আমার বিভাগের প্রথম বর্ষের একজন কৃতি ছাত্র, সে খুবই ভালো ছাত্র ছিল, সব সময় সে আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসতো। সেদিন দেখলাম সেই ছেলেটির নিথর দেহ পড়ে আছে। মনে হলো কোথাও তার আহতের চিহ্ন নাই।
ছাত্রদের হারানোর দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই ‘অক্টোবর স্মৃতিভবন’ ধরে রেখেছে সেই দিনের স্মৃতি।
শোকাবহ ১৫ অক্টোবরের ট্রাজেডির ৩৫ বছর পেরোলেও এখনকার অনেক হলেই আছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন।
উপচার্য জানালেন, নতুন হল ও আবাসিক ভবন নির্মাণ, পুরোনো ভবনগুলোকে সংস্কার করার বিশেষ উদ্যোগ আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সব ভবন নিরাপদ নয়। অনেক ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ আছে। এগুলোর কোনটি ভেঙে ফেলতে হবে, কোনটা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- যা সংস্কার করতে হবে। সে কাজ এখন চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের বেশিরভাগেরই নির্মাণকাল স্বাধীনতার আগে।
এসএ/