ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বীমা খাতে মার্জিন ঋণ বিতরণে সতর্কতা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

চার মাসের ব্যবধানে বীমা খাতের শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সাধারণ বীমার ডজন খানেক কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে দেড়শ’ থেকে আড়াইশ’ শতাংশ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে বীমাসহ কিছু শেয়ারে মার্জিন ঋণ বিতরণে সতর্ক অবস্থানে কিছু প্রতিষ্ঠান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুঁজির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল বাজার গঠনে প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে বিএসইসি বলছে, ঋণ নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ না করলেও, গুজব ছড়াতে দেয়া হবে না। 

২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে টানা কয়েক মাসে মতিঝিল এলাকায় পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের চলে বিক্ষোভ-মিছিল।

তবে পতন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। এতে মার্জিন ঋণে ব্যবসা করতে আসা বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিতে পড়েন। আর গ্রাহকের শেয়ার বিক্রি করে ঋণ আদায়ে ফোর্স সেলে তৎপর হয় মাচেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো। বাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে, বিনিয়োগকারীদের এমন আশা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অলিখিত নিষেধাজ্ঞায় আটকে যায় ফোর্স সেল। এতেও পতন থামেনি। ফলাফল, বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত।    

অতীত অভিজ্ঞতায় ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সম্প্রতি বীমা খাতের বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে মার্জিন ঋণ বিতরণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। আর এ নিয়ে গুজবের ডালপালা ছড়ায় পুঁজিবাজারে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীকে তলব করে বিএসইসি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন হস্তক্ষেপ না করাই ভাল।

বিএসইসি সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, মার্কেটে ফ্রি ডিজকভারী প্রাইজ হওয়া উচিত। মার্কেট রেগুলেটর যতোই কম ইনভেনটেশন করবে ততোই সেটা ভাল রেগুলেটর। ভাল রেগুলেটরের সবচেয়ে বড় গুণই হচ্ছে যে, সে ইনডিভিজুয়েল থাকবে।

এদিকে বীমা খাতের প্রতি বর্তমান কমিশন সংবেদনশীল, বাজারে যখন এমন গুজবও চালু আছে। এই পরিস্থিতিতে বিএসইসির এ পদক্ষেপ বাজারকে ভুল বার্তা দেবে কি-না, বিষয়টি পরিস্কার করলেন এই কমিশনার।

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, তাদের নিজেদের মুনাফার জন্য নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতির জন্য, তাদের ঝুঁকি নিরসনের জন্য যদি সিদ্ধান্ত নেয় এটা তো স্বাভাবিক, তার ব্যবসায় সে তো তাই করবে। কিন্তু যদি সে ভুল তথ্য দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বাজারকে প্রভান্বিত করার চেষ্টা করে তাহলে আমাদের অর্ডিন্যান্সের ধারার মধ্যে পড়ে যাবে। সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কোন সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠী এই ধরনের কাউকে কিন্তু বলি না যে কেউ শেয়ার কিনবে বা বিক্রি করবে। 

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বিএসইসি। বিশেষ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা শেয়ারের প্রতি কমিশনের কোনো পক্ষপাত নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন এই কমিশনার।

বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা কোন ভাবেই কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন সেক্টর কাউকেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করতে পারি না, করিনি এবং করবো না। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

এএইচ/এমবি