ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নূরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২২ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এপিএম সুহেল নামে একজনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ইসমাইল সম্রাট।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে নূর ও তার চক্র। ধর্ষণের বিচার না চেয়ে তারা বাদীকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

আরও বলা হয়, নূর চক্র সংগঠনের তহবিল তসরুপ করেছে। তাদের নৈতিক স্খলন হয়েছে। তাদের নীতিহীনতার কথা বললেই ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, বাম ও গোয়েন্দাদের এজেন্ট হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

নতুন গঠিত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কমিটিতে এ পি এম সুহেলকে আহ্বায়ক ও ইসমাঈল সম্রাটকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। যুগ্ম সচিব পদে আছেন সৈয়দ সামিউল ইসলাম।

নতুন কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন আমিনুর রহমান, জালাল আহমেদ, আবদুর রহিম, আমিনুল হক, রিয়াদ হোসেন, মো. সেলিম, শাকিল আদনান, নাদিম খান, এ কে এম রাজন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান, আফরান নাহিদ ও জাহেদুল ইসলাম।

কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে মিজানুর রহমান, মো. সিয়াম ও মো. জুনায়েদকে। এ ছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মোহাম্মদ উল্লাহ মধু ও মুজাম্মেল মিয়াজি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসমাঈল সম্রাট বলেন, মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে মানুষের আবেগ ও বিশ্বাস নিয়ে নোংরা রাজনীতি, আর্থিক অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা, অগণতান্ত্রিকভাবে সংগঠন পরিচালনা, ত্যাগী ও দুঃসময়ের সহযোদ্ধাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অবমূল্যায়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ধর্ষণের মামলাকে নোংরা রাজনৈতিকীকরণের অপচেষ্টার প্রতিবাদ ও সাংগঠনিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে তাঁরা নতুন কমিটি ঘোষণা করছেন।

ইসমাঈল সম্রাট বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নাম পরিবর্তন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ করা হয়। নাম পরিবর্তনের সঙ্গে নীতি এবং আদর্শও বদলে যায়। এই সংগঠনে এখন স্বেচ্ছাচারিতা চলে। জোর করে ব্যক্তির ইমেজ চাপিয়ে দেওয়া হয়। তাদের চরিত্র বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মতোই। কোনো বিষয়ে সমালোচনা করলে বিভিন্ন নামে ট্যাগ দেওয়া হয়। গণতান্ত্রিক মতানৈক্যের কারণে আমরা সংগঠনকে আগের নামে ফিরিয়ে নিচ্ছি৷’

এমবি//