ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রাজশাহীতে ‘হাজার দুয়ারি’ অট্টালিকা

প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ১২ মে ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০১:১০ পিএম, ১৩ মে ২০১৭ শনিবার

রাজশাহীর বাগমারায় রয়েছে সুরম্য অট্টালিকা ‘হাজার দুয়ারি’। বীরকুৎসার জমিদার অবিনাশ বন্দোপাধ্যায়ের ছেলে বিরুবাবু এই অট্টালিকা তৈরি করেন। শ্বেত পাথরে তৈরি এই অট্টালিকায় ছিলো এক হাজার দুয়ার। এ’ কারণে এর নাম হাজার দুয়ারি। ১৮৯০ সালে প্রায় ৩৮০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় এই ভবন। দেশ ভাগের পর সব সম্পদ ফেলে অবিনাশ বন্দোপাধ্যায়ের পরিবার ভারতে চলে যায়।
জনশ্রুতি রয়েছে, জমিদার অবিনাশ বন্দোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি ছিল ভারতের চন্দ্রনগরের গোপালধামে। সেখান থেকে তিনি চলে আসেন পূর্ব বাংলায়। এখানে আসার পর তার ছেলে বিরু বাবু  নির্মাণ করেন হাজার দুয়ারের সুরম্য অট্টালিকা। দুয়ারগুলো ছিল শ্বেত পাথরে আবৃত আর সেগুন কাঠের কারুকাজ করা। দরজাগুলো কাঠ, লোহারগ্রিল ও দামি কাঁচ দিয়ে তিন স্তরে মোড়ানো ছিলো।
এই বাড়ীর কর্মচারী কালিপদ প্রামানিক জানান, কারুকাজ করা দ্বিতল এই বাড়িতে ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ বাস করতেন। একপাশে ছিল পূজা মন্ডপ, যেখানে এখন পোষ্টঅফিস।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর অবিনাশ বন্দোপাধ্যায়ের বংশধরেরা স্বপরিবারে ভারতে চলে যান। এরপর চুরি হয়ে যায় তাদের বাড়িঘরের বিভিন্ন নির্দশন।
জমিদার বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চালুর দাবী এলাকাবাসীর।