২০ দিনে না ফেরার দেশে লাখো মানুষ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার
গত ২৮ সেপ্টেম্বর পৃথিবীব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা দশ লাখে পৌঁছায়। সেখান থেকে মাত্র বিশ দিন পার হতে না হতেই প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হলো আরও লক্ষাধিক মানুষ। এতে করে মৃতের সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়াল।
অন্যদিকে সুস্থতা বাড়লেও থেমে নেই সংক্রমণও। গত একদিনেও প্রায় চার লাখ মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬০৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯১ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ ঝরেছে ৬ হাজার ১০৭ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ ২ হাজার ৪২৫ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৪ জন রোগী। এতে করে করোনামুক্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার ৬০৩ জনে পৌঁছেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম মানবদেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দেশটিতে এ ভাইরাসে অস্বাভাবিকভাবে প্রাণহানি ঘটে। এর পরপরই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ায়। সে সব দেশে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে এখনও ক্রমশ বেড়েই চলছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রাণহানি। ১১ মার্চ করোনাকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এখন পর্যন্ত ৮২ লাখ ১৬ হাজার ৩১৫ জন মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৭১৭ জনের।
সংক্রমণের নিরিখে দুইয়ে থাকা ভারতে গত একদিনেও ৬০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ১২ হাজার ১৪৬ জনের।
প্রাণহানির তালিকায় দুই নম্বরে অবস্থান করা ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫১ লাখ ৭১ হাজারের কাছাকাছি। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ জনে ঠেকেছে।
এছাড়া, রাশিয়া, কলম্বিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, পেরু, মেক্সিকো, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, ইরাক, ইরান ও চিলিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা।
এদিকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ৬০৮ জনের।
এআই/এমবি