ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

পেঁয়াজ একটি মসলা জাতীয় কৃষিপণ্য। বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার। বাংলাদেশেও এই রবিঋতুর কৃষিপণ্যটির চাহিদা ব্যাপক। ৩০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৬ লাখ টন। নষ্ট হয়ে বাজারে জোগান দাঁড়ায় ২২ লাখ টন। বাকী পেঁয়াজ আমদানী করতে হয়। এই সুযোগে আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারী, মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়।

তবে ঊরি-৫ ও বারি-৩ জাতের পেয়াজ উৎপাদন বাড়ানো গেলে কয়েক বছরের মধ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে আশা করছে কৃষি অধিদপ্তর। কৃষি মন্ত্রী, কৃষক এবং ভোক্তাদেরও একই ধারণা। বার্ষাকালেও এই জাতের পেঁয়াজের আবাদ সম্ভব বলে জানা গেছে। পেয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের ঋণ দেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।

ইতোমধ্যেই কৃষিগবেষকরা বর্ষাকালে আবাদ যোগ্য বারি-৩ ও বারি-৫ জাতের উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে। এই পেয়াজের আবাদ শুরু হলে সংকট কমবে বলে জানান কৃষকরা।

তারা বলেন, ‘যেসময় পেঁয়াজের খুব আকাল চলবে বাজারে তখন এই পেঁয়াজটা উঠবে। এই পেঁয়াজ বাজারে আসলেই এখন যে ঘারতি আছে তা পূরণ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে কৃষকও লাভবান হবে।

প্রচলিত জাতের পেঁয়াজের চেয়ে ৩ গুন বেশি উৎপাদন হবে নতুন জাতের পেঁয়াজে। সময়ও লাগবে কম। জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুল মুঈদ বলেন, ‘আমরা এই বর্ষার সময় উৎপাদন করা যায় এরকম জাতের বারি পেঁয়াজ-৩ ও বারি পেঁয়াজ-৫ উদ্ভাবন করেছি। আমরা বিএডিসিকে অনুরোধ করেছি যে- গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজের বিজ যদি উৎপাদন করে সহজলভ্য করা যায়, প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছানো যায় তবে উৎপাদন সম্ভব। আমরা চিন্তা করেছি এই উচ্চ ফলনশিল জাতের বিজ এবং সার প্রান্তিক চাষিদের বিনামূল্যে দিব।’

গবেষকদের চেষ্টা ও সরকারের আন্তরিকতায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। শিগগিরই পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়বে বলেও আশ্বস্থ করেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যেটার সুদ ছিল আট থেকে নয় ভাগ সেটা কমিয়ে আমরা চার ভাগে নামিয়ে এনেছি। যেসকল জাত আমাদের বিজ্ঞানিরা আবিস্কার করেছে এই জাতগুলো যদি আমরা মাঠে নিতে পারি পেঁয়াজের ঘারতি থাকবে না। আমরা অবশ্যই পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।’

কৃষকদের তালিকা তৈরী করে শিঘ্রই নতুন জাতের পেঁয়াজ-বীজ সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসএ/