প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৫৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে খাদ্য সংকটের দেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
আজ শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে এখনো সংকটের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির আশংকা রয়েছে। এই বাস্তবতা মোকাবেলায়, উৎপাদ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা দুর্যোগে খাদ্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। উৎপাদনে কৃষক যাতে উৎসাহ না হারায় সেজন্য প্রণোদনা দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে বলেও জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য করে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টি যেন নিশ্চিত হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যে কোন ভাবেই হোক খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যহত রাখতে হবে।’
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষকের জন্য সরকার বেশ কিছু প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ২ কোটি দশ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবদান রাখায়, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী-ডাব্লিএফপি নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় সংস্থাটিকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, আজ (১৬ অক্টোবর) ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’। কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮১ সাল থেকে সারাবিশ্বে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এসএ/