মৌলভীবাজারে কমছে বিলের পরিধি: সংকটে জীববৈচিত্র (ভিডিও)
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
মৌলভীবাজারের হাইল হাওরের চইড়া বিল। যার ৯০ শতাংশ জুড়ে এখন মাছের খামার। খামার পাড়ে লাগানো হয়েছে গাছ, হয়েছে ঘরবাড়ি, এসেছে বিদ্যুৎ। এভাবেই বদলে যাচ্ছে বিলের চিত্র। আর সংকটে পড়েছে মাছসহ জীববৈচিত্র। ফলে কমছে দেশিয় মাছের অন্যতম আশ্রয়স্থল মৌলভীবাজারের হাইল হাওরের বিলের সংখ্যা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একসময় হাইল হাওরে বিল ছিল ১৩১টি। এখন সে সংখ্যা একশ’র নিচে। বর্তমানে বিল ঘিরে গড়ে উঠছে মাছের খামার। এর বিরূপ প্রভাবে হুমকিতে দেশিয় প্রজাতির মাছ।
খামার গড়ে ওঠার পর বিল ইজারা দেয়া হয়। এতে করে খামার মালিক ও ইজারাদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
ইজারাদার আনার মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় প্রতাপশালী আমার ফিসারি দখল করেছে। সেখানে গেলে উল্টাপাল্টা কথা বলে।’ তবে অভিযুক্ত দখলদার দিলু মিয়া তা অস্বীকার করেন।
প্রায় ১০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে অবস্থিত হাইল হাওর। যার অধিকাংশ শ্রীমঙ্গল উপজেলার অংশ। বাকিটা মৌলভীবাজার সদর উপজেলার। এখানে রয়েছে মাছের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলসহ প্রায় ৫৯টির মতো বিল। এসবের অধিকাংশই এখন বেদখল। এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, ‘যেভাবে বিলগুলো বেদখল হচ্ছে, এ অবস্থা চলমান থাকলে বিল বলে আর কিছুই থাকবে না। বিলগুলো দখলমুক্ত করে অবমুক্ত করতে হবে।’
মাছের খামার গড়ে ওঠায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ছড়ার পানি প্রবাহ। বিরূপ প্রভাব বহু মানুষের জীবন-জীবীকায়। একাধিক পর্যটক ও মৎস্যজীবী জানান, ‘শহরের যত ময়ালা আছে সব এখানে এসে জমা হয়। বিলগুলোতে ফিসরিজ করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
দখলদারদের উচ্ছেদ করে খামারগুলোকে আবার বিলে রুপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে কেউ যদি অবৈধভাবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে নিয়মিত অভিযান চলছে।’
এআই//আরকে//