বাঁধ নির্মাণের অনিয়মের সাথে জড়িতদের বাঁচানোর চেষ্টা
প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ১৩ মে ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ১৩ মে ২০১৭ শনিবার
শুধুই প্রকৃতির উপর দোষ চাপিয়ে, হাওরে বাঁধ নির্মাণের অনিয়মের সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। এমনটাই অভিযোগ, অকাল বন্যায় সর্বশান্ত সুনামগঞ্জবাসীর। প্রতিনিধি আব্দুস ছালামকে সাথে নিয়ে মুহাম্মদ নূরন নবী’র তিন পার্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দ্বিতীয় পর্ব।
হাওর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর, নির্মান কাজের বিল তুলে বাধ নির্মানের ঠিকাদাররা। বছরের পর বছর এমনটাই করা হচ্ছে, কারণ সহজেই গোপন করা যায়, ঠিক কি পরিমান কাজ হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কিনা। তার হদিস উদ্ধার করা যায় না বলেই শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে এসেছে তারা।
কিন্তু, যাদের প্রয়োজনে এই বাধ সংস্কার ও পূর্ণনির্মান আদতে তাদের জানার কোন সুযোগই রাখা হয়নি, পুরো প্রক্রিয়ায়। হাওর-বাসীর চিৎকার চেচামেচিতে কোন কাজ হয়নি কখনোই।
হাওরের ঠিকাদাররা, বিশেষ কোন দলের লোকজন নয়। বরং দুনীতিবাজদের সর্বদলীয় সিন্ডিকেট। এর সাথে, যোগসাজস করে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডর। প্রতিবার-ই, দৃশ্যমান একটা টেন্ডার হয় ঠিকই কিন্তু, কাজ পায় একই প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেটের হাত এতটাই লম্বা যে, কাউকে পরোয়া করার প্রয়োজনই মনে করেনি, কখনও। তাই তো, বাড়তি লাভের বিনিময়ে, কাগুজে বাধ নির্মান হাল-নাগাদ রেখেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পাউবো।
যদিও, ঠিকাদারদের কোন কোন অংশের মত, কর্মকর্তারাই তাদের অনিয়ম করতে বাধ্য করেছে। কারণ, অসৎ কর্মকর্তাদের চাকরি কখনই যায় না। দিতে হয়, নিদিষ্ট হারে কমিশনও।
আর, যাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তারা বলছেন উন্নয়ন কাজ করলে, সমালোচনা হবেই।