ভিডিও দেখুন
ভূ-রাজনৈতিক কারণেই বেড়েছে বাংলাদেশের গুরুত্ব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০২:৫২ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২০ রবিবার
ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বা আইপিএসে বাংলাদেশের সমর্থন পেতেই বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির বাইরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ানোসহ দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের আরও কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারত সেনাদের সংঘর্ষ, সেনকাকু দ্বীপ নিয়ে জাপান-চীন ও তাইওয়ানের ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব, তাইওয়ান ও হংকং দমন-পীড়ন আর তিব্বতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এ অঞ্চলের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের অবস্থানে সতর্ক যুক্তরাষ্ট্র।
এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারত যেমন গুরুত্বপূর্ণ, আবার মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সর্ম্পকও ঘনিষ্ঠ। একই সঙ্গে মিয়ানমারের উপর চীনের একটা বড় প্রভাব রয়েছে। আর চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ম্পক ঠিক কোন পর্যায়ে আছে, কারোরই তা অজানা নয়।
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-বিআরআই’র উদ্যোগে চীনের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি সইয়ের পর থেকেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল বা আইপিএসের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এ অবস্থায় ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়েছে বাংলাদেশের। আর সে কারণেই মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল দৃষ্টি ভারতের দিকে থাকলেও নজরে আছে বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই জোটটির ব্যাপারে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থন অথবা তাদের সহযোগিতা বা তাদেরকে কাছে টানার একটা চেষ্টা ছিল। একটি ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তৈরি হয়েছে পাশাপাশি এ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রেজেন্স তা আরও বাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক তারেক করিম বলেন, আমরা ওদের কাছ থেকে জিএসপি চাচ্ছি, এটা নেগোসিয়েশনের ব্যাপার। কোন দেশ কাউকে ‘আউট অব সিআর বেটার মুড’ লাভ কিছু দেয় না।
বিগানের সফরে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি- এফটিএ, তথ্য প্রযুক্তিসহ দ্বি-পক্ষীয় ইস্যুর সমাধানের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তারেক করিম বলেন, এখন চীন আগ্রহী মিয়ানমারকে নিয়ে আর ভারতও আগ্রহী মিয়ানমারকে নিয়ে। আমেরিকা বলে ইন্টারেস্ট আছে, কতটুকু করবে তা জানি না। সো, সবাইকে বলতে হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিআরআই-এর মতো অর্থনৈতিক উদ্যোগের পাশাপাশি আইপিএসের মতো নিরাপত্তা জোটের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দরকার সফল কূটনীতি।
অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্ট্যাটেজির দিক থেকে ঠিক আছে কিন্তু এটা ইপ্লিমেন্টের ক্ষেত্রে আমাদের হয়তো আরও বেশি ক্যাপাসিটি বিং করতে হবে।
এএইচ/এসএ/