ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ডাবল সুপার ওভারে রোমাঞ্চকর জয় পাঞ্জাবের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৬ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আইপিএলের ইতিহাস তো বটেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসেও এমন ঘটনা আর ঘটেনি। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে একবার নয় দুই বার সুপার ওভার খেলতে হয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। আর এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

রোববার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৬ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে পাঞ্জাবও ৬ উইকেটে করে ১৭৬ রান। তাতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। প্রথম সুপার ওভার শেষেও স্কোর টাই। দ্বিতীয় সুপার ওভার শেষে ২ বল হাতে রেখেই ক্রিস গেইল ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের কল্যাণে রুদ্ধশ্বাস ও ঐতিহাসিক এক জয় পেলো পাঞ্জাব।

প্রথম সুপার ওভারে পাঞ্জাব ব্যাট করতে নেমে ৫ রান করে। মোহাম্মদ শামির ইয়র্কারের পর ইয়র্কারে মুম্বাইও আটকে যায় ৫ রানে। তাতে প্রথমবারের মতো সুপার ওভারও হয় টাই। তাতে প্রথমবারের মতো আবারও ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে মুম্বাই প্রথমে ব্যাট করে ১১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ক্রিস গেইল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল আগ্রাসী ব্যাটিং করে ৪ বলেই করে ফেলেন ১৫ রান।

মুম্বাইর ট্রেন্ট বোল্টকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান গেইল। পরের বলে ১ রান নেন। এরপর মায়াঙ্ক তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঐতিহাসিক এক জয় উপহার দেয় দলকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের ৫৩ ও কাইরন পোলার্ডের ১২ বলে ৩৪ রানের ঝড়ের ওপর ভর করে পাঞ্জাবের সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল মুম্বাই।  

জবাব দিতে নেমে শুরুতে ময়াঙ্ক আগারওয়ালকে (১১) হারালেও একপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন পাঞ্জাব অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। আগের ম্যাচেই ফিফটি হাঁকানো ক্রিস গেইল এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ২১ বলে মাত্র ২৪ রান করেছেন এই ক্যারিবীয়। ১২ বলে ২৪ করে বিদায় নেন নিকোলাস পুরান। আবারও ব্যর্থ হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। 

এরপর দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় রাহুল (৭৭) বিদায় নিলে ক্রিস জর্ডান ও হুডা মিলে দলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের দরকার ছিল ৬ বলে ৯ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যটা কমিয়ে আনেন জর্ডান। শেষ ৩ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩ রান। কিন্তু চতুর্থ বলে দারুণ এক ইয়র্কার ছুড়েন বোল্ট। এরপর সিঙ্গেল নেন হুড়া। তখন ১ বলে দরকার ২ রান। কিন্তু আবারও ইয়র্কার, এবার কোনোমতে ১ রান নিলেও রান আউটের শিকার হন জর্ডান। এরপর তো জোড়া সুপার ওভারের ইতিহাস। 

এই জয়ে ৯ ম্যাচের ৩টিতে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে অবস্থানে পাঞ্জাব। অন্যদিকে ৯ ম্যাচের ৬টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বাই রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সবার উপরে আছে দিল্লি।

এএইচ/এমবি