বাড়ছে ড্রাগন ফলের আবাদ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২০ সোমবার
ড্রাগন ফলের আবাদ বাড়ছে গাজীপুরে। বরিশালেও এই ফলের বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বলছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলা ড্রাগন ফল চাষের উপযোগী। অর্থকরী কৃষি পণ্য হিসেবে এই ফল চাষে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে কৃষিদপ্তর।
ড্রাগন ফলের গাছ একটি ক্যাকটাস প্রজাতির উদ্ভিদ। চারা রোপণের দুই বছরের মধে ফলন আসে। বিভিন্ন রঙের ড্রাগন পাওয়া গেলেও লাল রঙের ফল বেশি জনপ্রিয়। এর আদি নিবাস মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা। এখন পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশেও বেড়েছে ড্রাগন ফলের চাষ।
গাজীপুরে ৩২ চাষী ২৭ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন। কমপক্ষে ২০ মেট্রিক টন ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন চাষীরা।
ড্রাগন ফল চাষীরা জানান, পোকামাকড় বা অন্যান্য ছত্রাকের আক্রমণ খুব কম, যার ফলে আমি এটি চাষের উদ্যোগ নিলাম। লাভবান তাই পাইকাররা ক্ষেত থেকেই নিয়ে যায়।
ড্রাগন চাষে কারিগরি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি অফিসার আশীষ কুমার কর বলেন, গাজীপুরের মাটি ড্রাগন ফলের জন্য খুবই উপযোগী।
বরিশালে ড্রাগন আবাদও শুরু ছাদ বাগানে। বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম ছাদবাগানে ড্রাগন চাষ শুরু করেন।
পুলিশ অফিসার ও তার স্ত্রী জানান, টবটা বড় সাইজের হলে ভাল হয়। টবের তিনভাগের দুই ভাগ মাটি এবং একভাগ গোবরসার থাকবে। এর সঙ্গে কিছু টিএসপি ও পটাশ দিতে হবে। এপ্রিল থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফল পেতেই থাকবেন।
এখন অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন ড্রাগন ফল চাষে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, সুস্বাদু একটি ফল। বাণিজ্যিকভাবে বরিশালে ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি ঘটানো যেতো তাহলে এখানে একটা আশার আলো দেখতে পেতাম।
জেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিভাগ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে নতুন চাষীদের।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তাওফিকুল আলম বলেন, এক্ষেত্রে মাত্র ৪ টাকা হারে ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। সহজেই চাষীরা ঋণ পারবেন।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়ার রহমান বলেন, ড্রাগন ফলের চাষ অনেকেই করেছেন। এটিকে আমরা উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করছি।
চাষীদের বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন আবাদে আগ্রহী করতে ঋণসুবিধাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।
এএইচ/এমবি