অক্টোবরেই চালু হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৪০ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট। এখান থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে।
এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণের জন্য ঠিক সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা না গেলেও প্রকল্প ব্যয় বাড়েনি।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও চীনের সমান অংশীদারিত্বে ব্যয় ধরা হয় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
এরই মধ্যে গেল সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে গেছে। ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এবার প্রস্তুত দ্বিতীয় ইউনিট। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সক্ষমতা পরীক্ষায় মিলেছে সফলতা। আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করতে প্রস্তুত তারা।
পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান বলেন, অক্টোবরেই কমার্শিয়ালে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট। করোনা প্যান্ডেনেমিক না থাকলে জুনের মধ্যে পারতাম। প্যান্ডেনেমিকের কারণে চায়না থেকে এক্সপার্টদের আসা-যাওয়ায় সমস্যার কারণে কিছু দেরি হলো। কিন্তু এ কারণে বাজেটের বাইরে একটি পয়সাও বেশি লাগেনি এবং খরচও হবে না।
প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এ মাসের শেষের দিকে দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শাহ আবদুল মাওলা বলেন, যখন থেকে এই ইউনিট থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দিব তখন যে কনজেমশনটা হবে বলেছি এটা এখন প্রেজেন্টে নাব্যতা আছে। সেই নাব্যতাতে এভাবে সম্ভব হবে না। অবশ্যই পায়রা পোর্টের ক্যাপিটাল ড্রেজিংটা কম্পিলিট হতে হবে।
তবে সঞ্চালন লাইন দ্রুত নির্মাণের তাগাদা দিয়েছেন তিনি।
এএইচ/এমবি