ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

তিনি স্বাধীনতা ও রাজনীতির কবি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১১:১২ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ত্রিশের দশকের পর বাংলা কবিতার অগ্রযাত্রায় তিনি অন্যতম অভিযাত্রী। তিনি স্বাধীনতা ও রাজনীতির কবি। আসাদের শার্ট, স্বাধীনতা তুমি কিংবা নূর হোসেন তার বহু অনুপ্রেরণাদায়ী কবিতার মধ্যে অন্যতম। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবতার পক্ষে তিনি ছিলেন উচ্চকন্ঠের মানুষ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট অনন্তলোকে যাত্রা করেন তিনি। 

শামসুর রাহমান। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম। বাবা মোখলেছুর রহমান ও মা আমেনা খাতুনের ১৩ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। আদি নিবাস নরসিংদীর রায়পুরায়। 

শামসুর রাহমান শুধু বাংলাদেশ নয়- বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু। ছিলেন সাহিত্যের ছাত্র। ১৯৪৯ সালে তার প্রথম কবিতা প্রকাশের পর থেকেই তিনি দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। তার কবিতায় বাঙময় হয় বিকাশমান নগর জীবনের আকুতি ও বেদনাবোধ। 

রবীন্দ্র, নজরুল আর জীবনানন্দ দাশের পর শামসুর রাহমান বাংলা কবিতাকে পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে। মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির জন্য অনুরাগ তাঁর কবিতার অন্যতম অনুসঙ্গ। তবে নিজেকে তিনি পৃথিবীর সন্তান বলে মানতেন।

স্বদেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাকে তাড়িত করে মুক্তিযুদ্ধসহ মানুষের সংগ্রামকে বাক্যবদ্ধ করতে। 

তার শানিত চেতনায় উচ্চারিত হয় মুক্তিযুদ্ধকালের বীরত্বের বর্ণণা। 
(সেই মাঝি- যে গাজী-গাজী বলে নৌকা বায়, সেই রিকশাঅলা-যার ফুসফুসে বেঁধেছে পোকার বাসা কিংবা বনে-জঙ্গলে রাইফেল কাঁধে পাকসেনাদের ভীত কাঁপানো সেই তেজদীপ্ত তরুণ- যে ছিল অপেক্ষায়, তোমার জন্য হে স্বাধীনতা।) 

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি লিখেছেন অসামান্য কবিতা। ধন্য সেই পুরুষ তাঁর সেরা সৃষ্টি। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। 

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মানণাসহ অসংখ্য পদক-পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। 

তিনি নন্দিত হয়েছেন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব আসরেও। 

জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত তিনি সাহিত্য রচনায় যুক্ত ছিলেন। মহান এই কবি তার লেখায় অমর থাকবেন মহাকালে- এমন মন্তব্য সাহিত্য বোদ্ধাদের। 

শামসুর রাহমানের কবিতাগ্রন্থ ৬৪টি। লিখেছেন ৪টি উপন্যাস। অনুবাদ করেছেন বিশ্বসাহিত্যের নানা রচনা। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট অনন্তের পথে যাত্রার তার।

এসএ/