রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সহায়তায় দাতাদের ভার্চুয়াল সম্মেলন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট স্টিফেন ই. বিগানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সহায়তা করার জন্য ২২ অক্টোবর ২০২০ আয়োজিত দাতাদের ভার্চুয়াল সম্মেলন "সাসটেইনিং সাপোর্ট ফর দি রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স"-এ যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)-এর সাথে সহ-আয়োজক হিসেবে যোগ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জন বার্সা ডেপুটি সেক্রেটারির সাথে ছিলেন । ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান এবং ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক বার্সা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো মোকাবেলা করা এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে বসবাসের ব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহায়তার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো তুলে ধরেন । এছাড়াও, এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক শরনার্থীদের চাপ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য দাতা দেশগুলোর বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর নিবন্ধিত ৮৬০,০০০ এর বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে।
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান তাঁর বক্তব্যে ২০২০ অর্থবছরে , আরো প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন । তিনি রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসা অংশীদারদের কথা উল্লেখ করে অন্যদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান যাতে করে প্রয়োজনীয় তহবিলের ঘাটতি পূরণ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ও এই অঞ্চলে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বার্মায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বার্মার অন্যান্য সম্প্রদায়ের সমর্থনে বৃহত্তম একক দাতা হিসাবে নেতৃত্ব অব্যাহত রেখেছে।
ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান সহ-আয়োজকদের সাথে মিলে বার্মা সরকারের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থানে বা পছন্দের জায়গায় স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সাথে এবং টেকসইভাবে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় পরিবেশ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরিশেষে, ডেপুটি সেক্রেটারি আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালা ও আইন সমুন্নত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং একতরফা সমাধানের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, তাতে রোহিঙ্গা এবং অন্যরা বিপদে পড়তে পারে। ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক বার্সা রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মানবিক ত্রাণ ও উন্নয়ন সহায়তা সমন্বয় করা এবং বাংলাদেশের পাশে থেকে সহায়তা জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরকে//