বাড়ছে পাহারাদার কুকুরের চাহিদা (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
দেশে বাড়ছে মাছ, পোলট্রি ডেইরিসহ নানা ধরনের খামার। এসব খামারের প্রাণী ও সম্পদ রক্ষায় পাহারাদার জরুরি। তবে পাহারার কাজে মানুষের চেয়ে কুকুরের ব্যবহার বেশি কার্যকর ও অর্থসাশ্রয়ী। ফলে বাড়ছে পাহারাদার কুকুরের চাহিদা। বিষয়টি চিন্তায় রেখে ইতিমধ্যে কিছু মানুষ গড়ে তুলেছেন কুকুর প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুলনার ডুমুরিয়ার আমভিটা গ্রামে ৬ একর জমিতে নয়টি পুকুর, বাগান, সবজি আর নানা প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন সাদিকুর রহমান গালিব। সীমানা প্রাচীর না থাকায় চোরের উপদ্রবে দিশেহারা হয়ে ওঠেন তিনি। তাই সম্পদের নিরাপত্তায় ৩০ হাজার টাকায় কিনে আনেন একটি জার্মান শেফার্ড। কিছুদিন পর আনেন একটি ফিমেল শেফার্ড।
এরপর গড়ে তুলেন খুলনা ক্যানেল নামে বিদেশি কুকুরের খামার। এখন বছরে আয় কয়েক লাখ টাকা। তার পথ ধরে হাটতে শুরু করেছেন আরো কয়েকজন।
জানতে চাইলে সাদিকুর রহমান গালিব বলেন, ‘কুকুর খামার গড়ার কারণে প্রোডাকশন বাড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাও বাড়ছে। আরও বিট বাড়ানোর লক্ষ্যে আবাসন বৃদ্ধি করছি।’
এদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির দুর্গম বগবান গ্রামে ২০১৬ সালে বড় ও ছোট চাকমা নামে দুই ভাই মিলে গড়ে তোলেন চাকমা ক্যানলে এন্ড এগ্রো ফার্ম। তাদের খামারে আছে ককেশিয়ান শেফার্ড, আলাবাই, জার্মান শেফার্ড, পাঞ্জাবি বুলিকুত্তা ও সরাইল হাউন্ডসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি কুকুর।
উদ্যোক্তারা জানান, কুকুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সুফল ওরফে ছোট চাকমা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও বড় খামার গড়ে তোলার চিন্তা আমাদের।’
চৌকস গঠন, সৌন্দর্য, সাহস, রণকৌশল, গতি, শক্তি, কষ্টসহিষ্ণুতা আর ক্ষিপ্রতার কারণে দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছিল সরাইল হাউন্ড। নানা কারণে সরাইলের কুকুর এখন বিলুপ্তির পথে।
লালন-পালনকারীরা বলছেন, ‘খাওন, চিকিৎসা ও যত্নের অভাবে কুকুর পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। অনেক সময় আমাদের না খেয়ে থাকতে হলেও কুকুরদের খাবার দেয়াই লাগে।’
ঐতিহ্যবাহী সরাইল হাউন্ড সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অর্থসহায়তার দাবি তাদের।
ভিডিও-
এআই//