বিধবা নারীকে ধর্ষণ, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৯:৪১ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২০ রবিবার
ঠাকুরগাঁওয়ে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার লোভ দিয়ে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় অন্তঃসত্বা ওই নারীর গর্ভপাতের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে গত ২২ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী শিশু জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আবেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজ্ঞ নারী শিশু জেলা জজ আদালতের বিচারক মামলাটি স্থানীয় থানার ওসিকে নথিভুক্ত করে আসামী গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মামলার আসামী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১নং পাড়িয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও পাড়িয়া গ্রামের মৃত. আব্দুল হাকিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
ওই আইনজীবি জানান, গত ৪ মাস আগে বিধবা ও ভিজিডির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য রফিকুল। পরে ওই নারী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ অক্টোবর ওই ইউপি সদস্য ঠাকুরগাঁওয়ের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ওই নারীর গর্ভপাত ঘটায়।
মামলার বাদী জানান, গোপনে গর্ভপাতের পর পেটের ব্যাথা ও রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারীকে ২০ অক্টোবর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। দু'দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে আল্ট্রসনোগ্রাম করান চিকিৎসক। আল্ট্রসনোগ্রাম রিপোর্টে দেখা যায়, ওই নারীর পেটে অ্যাবরশন(গর্ভপাত) করা শিশুর অংশ বিশেষ ভিতরে রয়ে গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে ২১ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই মহিলাকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ ও আশংকামুক্ত।
পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার্যান এ্যাড. জিল্লুর রহমান মুঠোফোনে জানান, মামলা করা হয়েছে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করবে। আইনী প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবে। আইনের বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই। মামলার আসামী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে বাইরে আছি। মামলার নথি আমরা এখনও পায়নি। নথি পেলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই//