ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

ভিডিও দেখুন

আব্বাসউদ্দীনের দরদভরা সুরে পল্লীগীতি আজও অদ্বিতীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

আব্বাসউদ্দীন আহমেদ। ভাওয়াইয়া, জারি-সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালাগানসহ সঙ্গীতের নানা শাখায় ছিলো তার সরব উপস্থিতি। স্বদেশী এবং উর্দু গানেও ছিলেন সমান দক্ষ। আজ এ অমর শিল্পীর ১২০তম জন্মদিন। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবরে তিনি ভারতের কোচবিহারে জন্মগ্রহন করেন। মাত্র ৫৮ বছর বয়েসে তিনি পরলোক গমন করেন।

১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এই গুণী শিল্পী। বলরামপুর প্রাইমারি, পরে রাজশাহী কলেজে পড়ালেখা করেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই গ্রামবাংলার পালাগান আর ভাওয়াইয়া গানের ভক্ত আব্বাসউদ্দীন খুব কম সময়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

কণ্ঠশিল্পী হিসাবে তার খ্যাতি ভারতজুড়ে। তার দরদভরা সুরে পল্লীগীতি আজও অদ্বিতীয়। ১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতাতেই বসবাস করেন। তিনি ২০ বছর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহচর্যে ছিলেন। তার গানের পাশাপাশি গোলাম মোস্তাফা আর জসীমউদ্দীনের গানও গেয়েছেন আব্বাসউদ্দীন।

১৯৪৭ সালে তিনি ঢাকা ফিরে আসেন এবং সরকারের প্রচার দফতরে চাকরি নেন। তার গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
 
আব্বাসউদ্দীনের রেকর্ড করা গানের সংখ্যা প্রায় ৭০০। ‘ও কী গাড়িয়াল ভাই’, ‘তোরষা নদী উথাল পাতাল’, ‘কারবা চলে নাও’, ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’, ‘মাঝি বাইয়া যাও’-সহ অসংখ্য গান বাংলা সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছে। অসামান্য অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার এবং স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

স্বল্প সময়ে সংগীতে আব্বাসউদ্দীন যে অবদান রেখে গেছেন, তা যুগ যগ ধরে বাঙালি স্মরণে রাখবে।


এসএ/