ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বেড়িবাঁধহীন নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা (ভিডিও)

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

কয়েক বছর ধরে মেঘনার ভাঙনে বেড়িবাঁধহীন হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা। দক্ষিণাঞ্চলের হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে নদী তীরবর্তী লাখো মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে। ভাঙন মোকাবিলায় অস্থায়ী বেড়িবাঁধের পরিবর্তে স্থায়ী ব্লকবাঁধের দাবি ভুক্তভোগীদের। 

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মেঘনার উত্তরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। এর দুটি ইউনিয়ন হরণি ও চানন্দী। এছাড়া ভাঙন কবলিত নদী তীরবর্তী সুবর্ণচরের চরক্লার্ক, মোহাম্মদপুর ও কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী এবং মুছাপুর ইউনিয়ন। বিলীন হচ্ছে এসব এলাকার ঘরবাড়ি, বসতভিটা, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ভাঙ্গনে আট মাসে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘ইতোমধ্যে কয়েকবার বাড়ি স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন করে আবারও বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে পথেঘাটে দিন কাটছে আমাদের। ’

স্থানীয়রা বলছেন, ‘প্রতিবছরই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার হলেও বারবার তা ভেঙে যায়। নির্মাণের পর দু’টা বছরও টিকে না। বেড়িবাঁধের পরিবর্তে যদি নদী শাসনের মাধ্যমে স্থায়ী ব্লকবাঁধ তৈরি করা হতো তাহলে আমাদের এতো দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভাঙনরোধে ব্লকবাঁধ তৈরির বিকল্প নেই।’

বছর বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ স্থায়ী সমাধান নয় মানছেন কর্তৃপক্ষও। এ জন্য ৬৭ কিলোমিটারের একটি সুপার ডাইক মেঘা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপনের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদী স্থায়ী কমিটির সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী রক্ষা পাবে।’

এআই/এমবি