বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় নারীর স্বামী সম্পৃক্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ওই নারীর স্বামীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিও ফুটেজ সরানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানায়।
এছাড়া এ ঘটনায় অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনও আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টর খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। ঘটনাটি আদালতের নজরে আনায়নকারী আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
বিটিআরসির পক্ষে বলা হয়, আদালতের আদেশে ওই নির্যাতন ঘটনার ভিডিও’র এক কপি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফেসবুক বিটিআরসিকে ফুটেজ সরানোর কথা ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার পর ফুটেজ সরাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সিডি বা পেনড্রাইভে কপি রেখে ভিডিও ফুটেজ সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। নির্যাতিতা ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বক্তব্য গ্রহণে পুলিশের কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করতে একটি কমিটি করে দেয় আদালত। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটিতে থাকবেন জেলা সমাজসেবা অফিসার এবং চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষ। কমিটি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ওই ঘটনায় করা ফৌজদারি মামলার সবশেষ অবস্থা জানিয়ে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে আদালতকে প্রতিবেদন দিতে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় নারীর স্বামীর সম্পৃক্ততা ছিল। অবহেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আনা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত মাসের ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে গৃহবধূর (৩৫) বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্লীলতাহানি করেন স্থানীয় বাদল ও তার সংঘবদ্ধ বখাটেরা। ওই সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করে।
উল্লেখ্য, ৪ অক্টোবর দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। দেশব্যাপি প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
সূত্র : বাসস
এসএ/