ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

অভিযানের কথা শুনে পালালো দোকানিরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় অভিযানের কথা শুনেই পালিয়ে যায় দোকানিরা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে দেশি পেঁয়াজে কেজিতে ৪ টাকা বাড়লেও কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। একইসঙ্গে স্বস্তি ফেরেনি শীতের সবজিতেও। 

ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, দোকানিদের সচেতন ও বাজার নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবেই এই অভিযান। জানতে চাইলে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘ভোক্তাদের অভিযোগ ছিল মূল্য তালিকায় যা দাম লেখা আছে, তার চেয়ে অধিক দাম রাখা হচ্ছে। বাজার ঘুরে আমরা এমন তিনটা দোকানে সত্যতা পেয়েছি। পরে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।’

এদিকে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকা করে। তবে কমেছে সবরকম আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।

পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, ‘গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৮ টাকায়, চলতি সপ্তাহে যা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় কেজিতে। চায়না ৫০ টাকা, পাকিস্তানি ৫২ টাকা ও মিশর বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।’ 

সবজির দাম কিছুটা কমলেও শিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০, টমেটো ১৪০ আর কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা। 

খুচরা সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ‘শিম, ফুলকপি, মুলা, বাধাকপি ও লাউসহ শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে থাকায় খুব শিগগিরই দাম কমে যাবে। এছাড়া আমদানি কমে গেলে দাম বাড়ে। আমদানি শুরু হওয়ায় দ্রুত দাম কমে আসবে।’

এছাড়া সব রকম ভোজ্য তেলের দামও বেড়েছে। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার দরে। আর বোতলজাত সয়াবিন লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। চিনির দামও বাড়তি। এছাড়া সব রকম চাল, মাছ, ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। 

 

এআই//এসি