৭৩ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জনে পুরস্কার দিল কুমিল্লা কাস্টমস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৬ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার
রাজস্ব আদায়ে গত বছরের চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ শতাংশ, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। করোনাকালে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন নাজুক অবস্থায়; জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি অর্জন যখন চ্যালেঞ্জের পথে; তখন ব্যতিক্রমী প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে কুমিল্লা কমিশনারেট। ব্যতিক্রমী অগ্রগতির পেছনের পরিশ্রমি কর্মীদের পুরস্কৃত করার জন্য গত ২৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কুমিল্লা কমিশনারেট।
অনুষ্ঠানে মোট ৫৫ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়। ২৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে তাঁদের বিশেষ অবদানের জন্য সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি ও পুরস্কার দেয়া হয়। এ সবের মধ্যে রয়েছে রিটার্ন যাচাই, নিবারক কার্যক্রম, বকেয়া আদায়, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, নিরীক্ষা ও তদন্ত, রাজস্বের নতুন ক্ষেত্র বৃদ্ধিকরণ, নিবন্ধন ও মূসক জরিপ, সিগারেট ও বিড়ির নকল ব্যান্ডরোল সনাক্তকরণ।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সম্মাননা ও স্বীকৃতিতে নিজ নিজ বক্তব্যে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। সরকারী দায়িত্ব পালনের জন্যে এ ধরনের স্বীকৃতি কারো ক্ষেত্রে জীবনে প্রথম। অনুষ্ঠানে সেরা বিভাগীয় কর্মকর্তার স্বীকৃতি অর্জন করেন নোয়াখালী বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা জনাব মোঃ ফখর উদ্দিন। তিনি বলেন করোনাকালে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধকে সামনে নিয়ে রাজস্ব সৈনিকদের কাজ করতে হবে। এ পুরস্কার আমাদের দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি সিগারেট/বিড়ি আটক ও অনলাইন রিটার্ন পেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ স্বীকৃতি পান। সেরা রাজস্ব কর্মকর্তা হন বেলাল উদ্দিন ফাইজুল সার্টিফিকেট মামলা নিষ্পত্তিতে অবদানের জন্য। তিনি বলেন সরকারের রাজস্ব বেশী আদায়ে ভূমিকা রাখতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। সেরা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হন নন্দিতা ভৌমিক। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েও অনলাইন রিটার্ন পেশে নিজ বিভাগসহ অন্য বিভাগকে সহায়তা ও পরামর্শ সেবা দিয়ে ব্যতিক্রমী ভূমিকা রাখেন। নন্দিতা ভৌমিক বলেন, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করার আনন্দই আলাদা। সাফল্যে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার (সদর) ছালাউদ্দিন রিপন বলেন, কুমিল্লা কমিশনারেট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত সূচকসমূহের বেশিরভাগ সূচকে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। যে সকল পরিশ্রমী কর্মকর্তা এতে ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের স্বীকৃতি প্রদান আবশ্যক হয়ে পড়েছে। রাজস্ব আদায়ে প্রথম স্থান অর্জনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। পুরস্কারের ধারা অব্যাহত থাকলে সকলের কাজের মান বাড়ে। রাজস্ব ও অন্যান্য সূচকের ধারায় উন্নতি অব্যাহত থাকবে মর্মে সকল কর্মকর্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরকে//