ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কমিউনিটি পুলিশিং ডে আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৯ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) দেশব্যাপী উদযাপন হবে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০। দিবসটির এবারে প্রতিপাদ্য– ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ সদরদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া সকল ইউনিট তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে কমিউনিটি পুলিশিং ডে সম্পর্কে প্রচারণা চালাচ্ছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ টক শো’র আয়োজন করেছে। জাতীয় পত্রিকাগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

দিবসটি নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যথাযথ প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে সবার মধ্যে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি ও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগের ক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ ও জনগণকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি, ইতোমধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই সে যাত্রায় সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশও একান্ত সারথী হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সদস্যদের সদা সচেষ্ট থাকতে হবে।’

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘দেশব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৮১টি কমিটির মাধ্যমে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং হাইওয়ে পুলিশেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আগামীতেও নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণ এবং পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন- মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, ইভটিজিং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণেও প্রয়োজনীয় আগাম তথ্য দিয়ে কমিউনিটির সদস্য তথা সমাজের মানুষ পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারেন। ফলে জনবান্ধব পুলিশিংয়ের পথ সুগম হওয়ার পাশাপাশি অপরাধ দমনে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সনাতন অপরাধের পাশাপাশি নিত্যনতুন অপরাধ মোকাবিলায় প্রজ্ঞা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে বাংলাদেশ পুলিশে নতুন ধারার যে পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে পরিচালিত কমিউনিটি পুলিশিং উদ্ভাবনী পুলিশিংয়ের সে ধারাকে নিঃসন্দেহে আরো ফলপ্রসূ করবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়ে ওঠা এ স্বাধীন দেশের পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং চর্চার মাধ্যমে জনগণের সহযোগিতায় জনপ্রত্যাশা পূরণ করে ‘জনগণের পুলিশ’ হয়ে উঠবে মুজিববর্ষের ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র এ এই আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।’

এসএ/