অস্থিত্ব সংকটে নোয়াখালী উড়ির চর (ভিডিও)
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
মেঘনা ভাঙ্গনে অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে নোয়াখালী উড়ির চর। প্রতিবছর নদীগর্ভে যাচ্ছে শত শত একর আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি। ভাঙ্গন রোধে বহুদিন ধরেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে চরবাসীরা। এখনও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভাঙন রোধে একটি ড্যাম নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও সন্দ্বীপের মাঝাখানে উড়ির চরের অবস্থান। ১৯৭০-৭১ সালে সন্দ্বীপের উত্তর দক্ষিণ ও মেঘনা মোহনায় প্রায় ২৮ কিলোমিটার আয়তনের চরটি জেগে উঠে। তখন থেকেই ভূমিহীন মানুষ সেখানে বসবাস শুরু করে। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই উড়ির চরে বসবাস তাদের।
এই চরে আছে হাটবাজার, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মেঘনার বাঙনে ছোট হয়ে আসছে উড়ির চরের আয়তন। ইতোমধ্যেই বিলিন হয়েছে তিনটি ওয়ার্ড। বদলে গেছে উড়ির চরের মানচিত্র।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীরা জানান, এখনও ভাঙছে কোথাও মাথাগোজার ঠাঁই নাই, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব, আমাদের কোন অর্থ সম্পত্তি নেই।
ভাঙ্গন রোধ ও জানমাল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। জমি ও জনপদ রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি চরবাসির।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীরা বলেন, উড়ির চরের অর্ধেকেরও বেশি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রাণের দাবি, বাঁচার দাবি ভাঙন রোধ করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে করজোড়ে অনুরোধ করছি নদী ভাঙ্গা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।
উড়ির চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৫০ হাজার মানুষের বসবাসের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙ্গন রোধে উড়ির চর-সুবর্নচর নোয়াখালী চ্যানেলে একটি ক্রসড্যাম নির্মাণের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, এই প্রকল্পটি যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি এবং ক্রসড্যাম নির্মাণ করতে পারি তাহলে অত্র এলাকার নদীভাঙন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।
দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করা না গেলে বিপন্ন উড়ির চরকে হয়তো রক্ষা করা যাবে না, এমন কথাই বলছেন বাসিন্দারা।
এএইচ/ এসএ/