ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির পিতাই ছিলেন না, বিশ্ব দরবারে তিনি ছিলেন নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত, শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে’।

আজ বিকেলে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ডুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুয়েকা) আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিটিআরসির সাবেক মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শহীদুজ্জামান মিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষযয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম, হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সম্মানি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) প্রমুখ।

মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধবিধ্ব বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু দরিদ্র দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েও তিনি বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মুক্তির কথা ভাবতেন এবং কথা বলতেন। তিনি পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি বিভিন্ন বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বলেন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সকল বৈষম্য হতে জাতিকে মুক্ত করার জন্যই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুত করেছেন এবং দেশ স্বাধীন করেছেন।

মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মিত্রবাহিনীর সদস্যরা এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা এমনকি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের সকল পরিকল্পনা তিনি গ্রহণ করেছিলেন । বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাগুলোই বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন।

আরকে//