কুড়িগ্রামে পোস্ট ই-সেন্টারে মিলছে না সুফল (ভিডিও)
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার
কুড়িগ্রামে পোস্ট ই-সেন্টার সেবা কেন্দ্র চালু হলেও মাঠ পর্যায়ে মিলছে না সুফল। অধিকাংশ পোস্ট ই-সেন্টারে ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও প্রিন্টার নষ্ট। কোথাও আবার ঘর নেই, তবু দেয়া হয়েছে এসব উপকরণের বরাদ্দ। এতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি। ফলে সরকারের পোস্ট ই-সেন্টারের সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
ভুরুঙ্গামারীর বলদিয়া পোস্ট ই-সেন্টার। এখনও মিলেনি সরঞ্জামাদি। পরিপাটি ভবনের ভেতরে সবজি রাখা। এখানকার মানুষকে পোস্ট ই-সেন্টারের সেবা নিতে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে সাধু বাজারে যেতে হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, সুযোগ-সুবিধা তো পাওয়াই যাচ্ছে না। ওসব তো আমরা কোন দিন দেখি নাই। চাকরির আবেদন বা টাকা ওরকম আদান-প্রদান এখানে হয় না।
ভুরুঙ্গামারীর বলদিয়া পোস্ট মাস্টার কবির খান জানান, জিনিসগুলো আছে পার্শ্ববর্তী সাধু মোড়ে। যেখানে লোক সমাগম বেশি।
সবুলপাড় বাজারে কেদার ডাকঘর কাগজ-কলমে থাকলেও ঘরের অস্তিত্ব নেই। এখানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানারসহ আসবাবপত্র। বাজারের দোকানে ব্যবহার হচ্ছে এসব।
ই-সেন্টারের আসবাবপত্র ব্যবহারকারী জানান, মাসিক যে আয় হয় সেখান থেকে ১০% সরকারকে দেই এবং ১০% মাস্টারকে দেই।
বঙ্গসোনাহাট ডাকঘর ভবন না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে পোস্ট ই-সেন্টার চালু করা হয়েছে। সেখানেও পোস্ট মাস্টার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন ল্যাপটপ। আবার কোথাও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে সরঞ্জামাদি।
এলাকাবাসীরা জানান, ইউনিয়নের পোস্ট অফিস এটা যে কোন জায়গায় সেটা আমরা সঠিক জানি না। পোস্ট অফিস থেকে আমরা কোন সেবা পাই না।
সরঞ্জামাদি বরাদ্দে অনিয়মের বিষয়ে পরিদর্শক জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম উপ-বিভাগ পোস্ট অফিস পরিদর্শক সুজন রায় বলেন, যে অফিসের সিকিউরিটি নাই, আবার কোথাও ঘরই নাই সেখানে তো কোথাও না কোথাও বসতে হবে। এজন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে শিথিলতা দেওয়া আছে।
জেলার ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নে ৮০টি পোস্ট অফিস চালু আছে। তবে যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে নামকাওয়াস্তে চলছে সেবা কার্যক্রম।
এএইচ/এমবি