ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

শর্তে সুন্দরবন ও সাফারি পার্ক ভ্রমণে অনুমতি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

করোনা পরিস্থিতিতে আট মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে তুলে নেয়া হলো বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। ৬ শর্তে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে বনবিভাগ। এদিকে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে আজ থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কও।

রোমাঞ্চ, ভয় আর শিহরণের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। যেখানে বছরের প্রায় সব সময়ই থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা।

করোনার বিস্তার রোধে গত ১৯ মার্চ সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় শর্তসাপেক্ষে সুন্দরবন খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে খুশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটররাও।

এক পর্যটক জানান, সরকার যেহেতু আবার সুন্দরবন খুলে দিয়েছে এই খবর শুনে আমরা খুবই আনন্দিত।

সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর গোলাম রহমান বিটু জানান, সাত মাসে আমরা পর্যটন ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সরকারের জোর আবেদন সকল নিয়ম মেনেই আমরা পর্যটন ব্যবসা পরিচালনা করবো।

সুন্দরবন করমজল পর্যটন স্পটের স্টেশন কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, চেষ্টা করবো যেন পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। পর্যটক আসলে আবার যেন রাজস্বকে গতিবেগ করতে পারি।

তবে স্বাস্থ্যবিধিসহ ৬টি শর্ত মেনে চলতে হবে পর্যটকদের।

শর্ত সম্পর্কে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মঈন উদ্দিন খান বলেন, ট্যুরিস্টকে যখন লঞ্চে উঠাবেন তখন অবশ্যই যেন তার তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় সে ব্যবস্থা তারা নিবেন। এছাড়া প্রতিটি জলযানে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্য সামগ্রী যেমন- হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াস, মাস্ক ইত্যাদি রাখতে হবে।

এদিকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২৮ অক্টোবর গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটিও খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা।

গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, একজন দর্শনার্থী থেকে আরেকজন দর্শনার্থীর দূরত্ব ন্যুনতম যেন তিন থাকে। সেভাবে আমরা খোদাই করে পার্ক করে দিব। পাশাপাশি প্রত্যেকেই যেন মাস্ক ব্যবহার করে সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো। 

করোনার কারণে গত ২০ মার্চ থেকে বন্ধ ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।

এএইচ/এমবি