আ.লীগের সহযোগী সংগঠনে বিতর্কিতদের অন্তর্ভুক্তি, ক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার
আওয়ামী লীগের বেশক’টি সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির কিছু পদে কয়েকজনের অন্তর্ভুক্তি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মীরা। তবে সংগঠনের নেতারা বলছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্যাসিনো কাণ্ড, অনুপ্রবেশসহ নানা কারণে রাজনীতি শুদ্ধ করার অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনে শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসে।
দুর্নীতিবাজ, ভূঁইফোড় এবং স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী কেউ যাতে সংগঠনের নেতৃত্বে না আসতে পারে সে বিষয়ে বরাবরই সতর্ক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এতকিছুর পরও কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজবাড়ির নুরে আলম সিদ্দিকী হকের বিরুদ্ধে আছে অভিযোগ। নুরে আলম কালুখালি উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের স্বাধীনতাবিরোধী আমজাদ সরদারের ছেলে। আমজাদ ডাকাতি মামলায় সত বছর জেলও খেটেছেন।
গবেষণা সম্পাদকের পদ পেয়েছেন প্রয়াত এক বিএনপি নেতার মেয়ে। মাদক মামলার আসামীও আছেন কমিটিতে। কৃষকলীগ সভাপতি জানান, তথ্য-প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে সংগঠন।
কৃষকলীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ বলেন, ১১১ জন কমিটির ভেতরে আমি মনে করি একজনও নেই যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে না। আমরা আমাদের মাথায় পচন ধরতে দেবো না এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জুয়েল আহমেদকে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের সাবেক ছাত্র জুয়েলের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে জুয়েল ছিলেন সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের পিও।
কমিটিতে স্থান পাওয়া চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাতজনের মধ্যে একজন জামায়াত নেতার ভাই। আরও দু’জনের বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতা ও অপহরণের মতো অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, যুদ্ধাপরাধী, অনুপ্রবেশকারী অথবা কোন সন্ত্রাসীর স্থান নেই। ঘোষিত কমিটিতে এরকম কোন অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে আমরা সে অভিযোগ তদন্ত করে তাকে বাদ দিবো।
অভিযুক্তদের পদ বাতিল করার দাবি করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।
এএইচ/এমবি