ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

পেঁয়াজের দাম আরও কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৭:১৪ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে, দাম আরও কমবে। গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমতদানি করা হয়েছে, এতে আমাদের বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। 

মন্ত্রী আজ (রোববার ১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, ইআরএফ সাবেক সভাপতি শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ জুরি বোর্ডের সমন্বয়ক সিরাজুল কাদির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  এ সময় ইআরএফ-এর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের দিকে এই ঘাটতি দেখা দেয়। সে কারণে আগে থেকেই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের ৯০ শতাংশই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। কিন্তু এখন সেখানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ এবং আলুর দাম সেখানেও বেশি। আমাদের বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য সবকিছুই করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা বলছি আমদানি পেঁয়াজ ৫৬ টাকা নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে, এটা কি আসলেই সঠিক দাম? আপনাদের সেই তথ্যই আগামীদিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার কারণে কোভিড-১৯ এর মত মহামারির মধ্যেও এ খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আগের অবস্থানে চলে এসেছে। এ সেক্টর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্রও সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।

উল্লেখ্য, এবছর ৯টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জন ইআরএফ সদস্য সেরা রিপোর্টার হিসেবে নির্বাচিত হন। এবছর অ্যাওয়ার্ড প্রদানে সহায়তা করেছে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন দৈনিক ইত্তেফাকের জামাল উদ্দীন, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, প্রথম আলোর রাজিব আহমেদ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শাহ কাজল ও সানাউল্লাহ সাকিব, শেয়ার বিজ পত্রিকার ইসমাইল আলী, যুগান্তরের এস এ এম হামিদ উজ জামান, দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাডের জেবুন নেসা আলো, দেশ রুপান্তরের আলতাফ মাসুদ, জিটিভির রাজু আহমেদ, যমুনা টিভির সুশান্ত সিনহা, রিমন রহমান, আলমগীর হোসেন, সময় টিভির এস এম যোবায়ের আলম এবং একাত্তর টিভির কাবেরী মৈত্রেয়। 
 
আরকে//