ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জের বন্দরের এ ঘটনায় গুরুতর আহতাবস্থায় ওই কিশোরীকে আজ রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কেওঢালাস্থ বাগদোবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউপির কেওঢালা বাগদোবাড়িয়া গ্রামে একটি তিন তলা বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন ওই কিশোরীর বড় বোন। গত ১৪ অক্টোবর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিমিলঘড় এলাকা থেকে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। তারপর থেকে কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে মুদি দোকানী রুবেল (২৫) ও অপর ভাড়াটিয়া অপু (২২)। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রুবেল ও অপু মিলে ওই কিশোরীদের ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে। এসময় দরজা খুললে আসামিরা ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
কিন্তু ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মদনপুর বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিশোরীর এক পা ও এক হাতের হাড় ভাঙ্গা এবং মাথায় আঘাত থাকায় তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রুবেল ও অপু পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই জনসহ ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অপু’র বাবা হাসান মিয়াকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এনএস/