গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর করোনার প্রভাব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রবিবার
গতকাল ৩১শে অক্টোবর, ২০২০, বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও)’র যৌথ আয়োজনে “হোয়াটস গোয়িং অন? লেসনস ফ্রম দা গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ: কোভিড কনটেক্সট” শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটোনিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের চেয়ারম্যান ড. বজলুল হক খন্দকার ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন। বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের নির্বাহী পরিচালক ড. গাই স্টুয়ার্ট, বিজিএমইএ-র সভাপতি ড. রুবানা হক, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কারস সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আকতার, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস অফ দা পুওরের বাংলাদেশ প্রোগ্রাম অফিসার স্নিগ্ধা আলী, এবং বিকাশের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিজানুর রশিদ।
সূচনা বক্তব্যে, ড. বজলুল হক খন্দকার কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের অবস্থার ওপর আলোকপাত করেন। এ প্রসঙ্গে, সানেম এবং এমএফওর যৌথ পরিচালনায় গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্প নিয়েও তিনি বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মূল্যায়ন করতে, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) গত ১৫ সপ্তাহ ধরে ১৩৬৭ জন শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জরিপ চালিয়ে আসছে; এই ধারাবাহিক জরিপে প্রতি সপ্তাহে নতুন প্রশ্ন যোগ করা হয়। সানেম এবং এমএফও-র যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই জরিপগুলো “গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ” শীর্ষক প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ ও উৎপাদক দেশগুলোতে নিয়োজিত শ্রমিকদের শ্রম ঘন্টা, আয়, ব্যয় এবং অন্যান্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়মিত, নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ এর উদ্যোগে বাংলাদেশ, ভারত ও কম্বোডিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে এই প্রকল্প শুরু হয়। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচটি উৎপাদক দেশের শ্রমিকদের ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা ও সেগুলো প্রকাশ করা। আশা করা হচ্ছে, এ তথ্য-উপাত্ত বৈশ্বিক সরবরাহ ধারায় স্বচ্ছতা নিয়ে আসবে।
গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত গবেষণা ফলাফলগুলো তুলে ধরেন ড. গাই স্টুয়ার্ট। এপ্রিল মাসে গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার পরে মে মাসে আবার খুলে যায়। এপ্রিল মাসে পুরুষদের মধ্যক (মিডিয়ান) কর্মঘন্টা ছিলো ৪৩ ঘন্টা, যা নারীদের জন্য ছিল ৪২ ঘন্টা। তবে মে মাস থেকে কর্মঘন্টা বৃদ্ধি পেতে থাকে, যদিও মে ও আগস্ট মাসে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার জন্য কর্মঘন্টায় কিছুটা প্রভাব পড়ে। জুন, জুলাই, সেপ্টেম্বরে, কর্মঘন্টা আবার ২০১৯ সালের মত হওয়া শুরু করে—যা ছিলো মাসে ২৪৬ ঘন্টা। এপ্রিল মাসে নারী শ্রমিকদের মধ্যক মাসিক বেতন ছিলো ৯,২০০ টাকা এবং পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যক মাসিক বেতন ছিলো ১০,১৭৫ টাকা।
ড. স্টুয়ার্ট তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন যে, সেপ্টেম্বর মাসে গার্মেন্টস খাতে শ্রমিকদের বেতনের অবস্থা ভালো ছিলো যেহেতু, তা প্রায় ২০১৯ সালের গড় মাসিক বেতনের (১০ হাজার টাকা) প্রায় সমান ছিল। সেপ্টেম্বরে নারী শ্রমিকদের মধ্যক মাসিক আয় ছিলো প্রায় ১০ হাজার টাকা আর পুরুষদের মধ্যক মাসিক আয় ছিলো ১১ হাজার টাকা। মে মাসে জরিপে অংশ নেয়া শ্রমিকদের মধ্যে ২১% কর্মসংস্থান নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান। জুন, জুলাই, আগস্টে বেকারত্ব কমলেও সেপ্টেম্বরে আবার বৃদ্ধি পেয়ে তা ৮% হয়। ফলে প্রশ্ন ওঠে যে, আগামী কয়েক মাসে গার্মেন্টস কারখানার কর্মসংস্থান কতটুকু বজায় থাকবে এবং সম্ভাব্য বেকারত্ব মোকাবেলায় কী ধরণের নীতি গ্রহণ করা দরকার?
ড. রুবানা বলেন, জুন জুলাই মাসে আগে যে অর্ডারগুলোর রপ্তানি হয় নি, সেগুলো রপ্তানি করা হয়েছে। ফলে কর্মঘন্টা বেড়েছে এবং রপ্তানিও বেড়েছে। তবে, ভবিষ্যতের অবস্থার ওপর গার্মেন্টস খাতের কর্মসংস্থান নির্ভর করছে। আশা করতে হবে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা আগের থেকে কম ক্ষতির কারণ হয়, তবে এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই। ড. রুবানা হক বলেন, শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গার্মেন্টস খাতের সকল অংশীদারকে এগিয়ে আসতে হবে। বিজিএমইএ থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য বাইরের ক্রেতাদের আরো বেশি দাম দেয়া উচিত এবং দায়িত্ব নেয়া উচিত। তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের সকলের সুবিধার জন্যই মোবাইল আর্থিক সেবার খরচ কমানো দরকার। তিনি বলেন যে, অনেক কারখানাতেই ন্যায্য মূল্যের দোকান আছে যেখান থেকে শ্রমিকরা তুলনামূলকভাবে কম দামে জিনিস কিনতে পারে। তবে, এমন আরো ন্যায্য মূল্যের দোকান দরকার।
কল্পনা আকতার বলেন, অনেক শ্রমিকই মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেরিতে বেতন পেয়েছে। অনেক কারখানাই শ্রমিকদের পূর্ণ বোনাস দেয় নি। অনেক শ্রমিককেই ছাঁটাই করা হয়েছে। ছাঁটাইয়ের কারণে বাকি শ্রমিকদের ওপর কাজের চাপ বেড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পোশাক আমদানীকারক দেশগুলোকে ক্ষতির মুখে ফেললে গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য একটি পূর্ব পরিকল্পনা করার ওপরেও জোর দেন তিনি। কল্পনা আকতার বলেন, যাতে নারীদের নিজেদের মোবাইল আর্থিক সেবা একাউন্টের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে সেজন্য আরো বেশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম দরকার, কেননা এমন দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীরা স্ত্রীদের আয় প্রাপ্ত অর্থ নিয়ন্ত্রণ করে।
ড. স্টুয়ার্ট তার উপস্থাপনায় গার্মেন্টস খাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের ওপর আলোকপাত করেন। এপ্রিল মাসে, প্রতি ৪ জনে ১ জন শ্রমিককে ডিজিটালি বেতন প্রদান করা হতো। মে মাসে, প্রতি ৪ জনে ৩ জন শ্রমিককে ডিজিটালি বেতন প্রদান করা হয়, অর্থাৎ নতুন করে প্রায় ২০ লক্ষ শ্রমিককে এই পদ্ধতিতে বেতন দেয়া হয়েছে এই দুই মাসে। তবে, সেপ্টেম্বর মাসে এ সংখ্যা ওঠা নামা করেছে, যা নমুনার প্রায় ৬০% ছিল। ফলে, ভবিষ্যতেও কি ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
উপস্থাপনায় আরো বলা হয় যে, মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নারী শ্রমিকরা ডিজিটাল আর্থিক সেবায় কিছুটা দক্ষতা অর্জন করলেও, তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই ডিজিটাল ওয়ালেট (মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট) ব্যবহার করতে জানেন না। এজন্য তাদেরকে প্রায়ই তাদের পুরুষ সঙ্গীর ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে, ডিজিটাল বেতন কি শ্রমিকদের জন্য, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য কার্যকর কি না তা নিয়ে এবং কিভাবে এটিকে আরো কার্যকর করে তোলা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
স্নিগ্ধা আলী বলেন, ডিজিটাল বেতনের কারণে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক সময় বাঁচে এবং এতে করে দক্ষতা বৃদ্ধি হয়। নারীরা আগে থেকেই ডিজিটাল ওয়ালেটে সঞ্চয় করতেন, যা চোখে পড়েনি। মহামারীর সাথে কীভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা থাকায় নারীরা আগের থেকে নিজেদের বেশি ক্ষমতায়িত মনে করছেন। তবে, এসব কোনোকিছুই গার্মেন্টস খাতের সব অংশীদারদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া অর্জন সম্ভব হতো না। তিনি, ডিজিটাল আর্থিক দক্ষতা এবং সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের ওপরেও জোর দেন, যাতে করে নারীরা ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহারে আরো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
মিজানুর রশিদ ব্যাখ্যা করে দেখান যে, ডিজিটাল বেতন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রত্যেক শ্রমিক বাবদ মাসে অর্ধ ডলার করে খরচ বাঁচায়। বেতন প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বিকাশ যে ডিসবার্সমেন্ট চার্জ এবং ক্যাশ-আউট চার্জের ওপর ভর্তুকি দিচ্ছে সে ব্যাপারেও তিনি আলোকপাত করেন, তবে এও উল্লেখ করেন যে দীর্ঘ মেয়াদে এ ব্যবস্থাগুলো চলমান রাখা নাও সম্ভব হতে পারে। তিনি আরো বলেন যে, গত দুই মাসে দেখা গেছে ছোট কারখানাগুলি ডিজিটালি বেতন দেয়া থামিয়ে দিয়েছে। ফলে, গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন স্পষ্ট করে বোঝা করা দরকার।
ড. স্টুয়ার্ট বলেন, মহামারির কারণে গার্মেন্টস খাতে কর্মসংস্থান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন এবং কর্মসংস্থান বেড়েছে। একই সময়ে, খাদ্য নিরাপত্তাও বেড়েছে, কিন্তু তা দেখা গেছে গার্মেন্টস ওয়ার্কার ডায়েরিজে অংশ নেয়া ৫০% শ্রমিকদের মধ্যে। ১০০% শ্রমিকের খাদ্য নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। শ্রমিকদের পরিবারগুলোর মধ্যে অসুস্থতা বৃদ্ধি হচ্ছে। কর্মসংস্থান এবং অসুস্থতা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। গবেষণায় আরো দেখা যায়, শ্রমিকরা যখন বাকি তে চাল কেনে তখন তাদের বেশি দাম দিতে হয়। এই ইস্যু মোকাবিলায় কী করা যায় যাতে স্থানীয় দোকানদারদের জীবিকাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে না সেটা নিয়েও ভাবা দরকার বলে ড. স্টুয়ার্ট মন্তব্য করেন।
ওয়েবিনারে উপস্থাপিত গবেষণা এবং এ সংক্রান্ত আলোচনার ওপর ড. সেলিম রায়হান তার বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, গার্মেন্টস খাতের জন্য বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার খুবই জরুরি। তিনি বলেন, মোবাইল আর্থিক সেবা পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন নতুন আর্থিক সেবা উদ্ভাবন করতে পারে। তিনি শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তার উদ্বেগ তুলে ধরেন, যেহেতু, শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা এমনিতেও ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং কোভিড-১৯ তাদের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে শ্রমিকদেরকে, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির খরচ কমাতে হচ্ছে, যার প্রভাব প্রজন্মান্তরে পড়বে। এ সমস্ত কিছুর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য নীতি প্রণয়ন করা দরকার।
সার্বিক আলোচনা ওপর টুমো পুটোনিন তার মতামত ব্যক্ত করেন। ড. টুয়োমো পুটিয়েনিন বলেন, গার্মেন্টস খাতের কর্মসংস্থান বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের নিজস্ব নীতি থাকা দরকার। তিনি বলেন মহামারির ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে, তবে নতুন সুযোগও তৈরী হয়েছে। তিনি বলেন, যে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ধাক্কাগুলো মোকাবিলার জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা দাঁড় করানো দরকার। অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগলে মূল্য সংক্রান্ত ইস্যুগুলো চোখে পড়ে। ফলে, তথ্যের মান নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গার্মেন্টস খাতের বৈচিত্র্যায়নের ওপরও জোর দেন তিনি।
সমাপনী বক্তব্যে ড. বজলুল হক খন্দকার বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরকে//