জোড়া খুনের আসামি ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২০ সোমবার
পটুয়াখালীর বাউফলে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি উপজেলার কেশবপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে থাকায় রোববার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
গত ২ আগষ্ট কেশবপুর ইউনিয়নে জোড়া হত্যা সংঘঠিত হওয়ার ঘটনায় ১৯৬০ সনের দন্ডবিধি ৩০২(৩৪) ধারায় বাউফল থানায় দায়ের কৃত ফৌজদারি মামলায় (মামলা নং-৫, তাং- ৪/৮/২০ইং) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন এবং পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বর্ণিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচিন নয় মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক সংগঠিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থে পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ -এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী উল্লেখিত চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখস্ত করা হয় বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৫ আগস্ট তিনি ওই জোড়া খুনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেলেও গত ৬ অক্টোবর পটুয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
দলীয় বিশৃঙ্খলার কারণে জোড়া খুনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় গত ৬ আগস্ট দল থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন লাভলুর অনুসারীদের হাতে নির্মম খুন হয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমন তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই ইশাত তালুকদার।
এনএস/